সরেজমিনে লালমনিরহাট শহরে দেখা গেছে, পাড়া–মহল্লায় হতদরিদ্র ও স্বল্প আয়ের লোকজন শতাধিক পিঠার দোকান গড়ে তুলেছেন। মূলত ফুটপাত জুড়ে এই দোকানগুলোর অবস্থান। সকাল-সন্ধ্যায় শরীরে গরম কাপড় জড়িয়ে ধোঁয়া ওঠা ভাপাপিঠার স্বাদ পেতে অনেকেই ভিড় করছে সেখানে।
মূলত সেখানে ভাপা ও চিতইপিঠা পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি পিঠার দাম ৫ টাকা। আবার অনেক দোকানি চিতইপিঠার মধ্যে ডিম দিচ্ছেন। এই পিঠা ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের স্বর্ণামতি সেতুর পশ্চিমপাড়ে এমন পিঠাপুলির দোকান নিয়ে বসেছেন শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, চলতি সময়ে হাতে কাজ থাকে না। শীত এসেছে তাই সংসারের খরচ চালাতে সেতুর পাশে পিঠার দোকান দিয়েছেন।
দিনভর বাড়িতে চালের আটাসহ পিঠা তৈরির সরঞ্জাম প্রস্তুত করে বিকালে দোকান চালু করেন। সেখানে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ভাপা ও চিতই পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠা বিক্রি করেন। পিঠা ছাড়াও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সেদ্ধ ডিমও বিক্রি করেন তিনি।
আরেক বিক্রেতা বোরহান জানান, প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেন। যা দিয়ে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচসহ তার সংসার চলছে। তবে শীত শেষ হলেই তিনি আবারও অন্য পেশায় চলে যাবেন।
কালীগঞ্জের কাকিনা রংপুর সড়কের শেখ হাসিনা সেতুপাড়ে পিঠা বিক্রেতা আমিনুর জানান, আগে দিনমজুর করে সংসার চালাতেন। এখন হাতে কাজ নেই। কর্মহীন হয়ে সংসার চালানো বেশ কষ্টকর হয়ে পড়ে। আর শীতের ঠান্ডায় শরীর গরম করতে পথিকরা গরম গরম পিঠা খেতে পছন্দ করেন। শীত এসেছে তাই সেতুপাড়ে পিঠা বিক্রি করছেন তিনি।
সেতুপাড়ের পথিক আতিক, সন্তোষ রায় ও ফারুক মিয়া জানান, সন্ধ্যা নামলেই শীত অনুভূত হয়। ঠাণ্ডায় গরম গরম পিঠা খেতে বেশ মজা। তাই সন্ধ্যা হলেই পিঠা খেতে সেতুপাড়ে আসেন তারা।
অনেকেই পরিবারসহ পিঠা খেতে সেতুপাড়ে ভিড় করেন বলেও জানান তারা।