শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ ছেড়ে যাবে ব্রিটেন। তখন মধ্যরাত থাকবে ইইউর রাজধানী ব্রাসেলসে।
ইউরোপীয় দেশগুলোর এ জোটে ১৯৭৩ সালে যোগ দেয়া ব্রিটেন গণভোটে বিচ্ছেদের পক্ষে ৫২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। সেই গণরায় সাড়ে ৩ বছর পর কার্যকর হতে যাচ্ছে।
এই প্রথম কোনো দেশ ইইউ ছেড়ে যাচ্ছে। যা পরিচয় পেয়েছে ব্রেক্সিট হিসেবে। জোটের অনেকে দিনটিকে দুঃখের দিন হিসেবে দেখছেন। আজকের পর থেকে ইইউ ২৮ নয় বরং ২৭ দেশের জোটে পরিণত হবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিচ্ছেদের ঘণ্টা খানেক আগে টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলে কথা রয়েছে। তিনি ব্রেক্সিটকে ‘শেষ নয় বরং শুরু’ হিসেবে দেখছেন।
তার কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে, তিনি ব্রেক্সিটকে ‘সত্যিকারের জাতীয় নবায়ন ও পরিবর্তনের মুহূর্ত’ হিসেবে তুলে ধরবেন।
তবে, ২০১৬ সালের গণভোটের সময় ব্রিটেনে যেমন বিভক্তি ছিল তেমন বিভক্তি নিয়েই তারা ইইউ ছেড়ে যাচ্ছে। মোটামুটিভাবে ব্রিটেনের বড় শহরগুলো ইইউতে থেকে যাওয়ার এবং ছোট শহরগুলো ছেড়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছিল। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ব্রেক্সিটের পক্ষে থাকলেও উত্তর আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড জোটে থাকতে ভোট দেয়।
শুক্রবার রাতে এডিনবরায় স্কটিশ পার্লামেন্টের বাইরে থেকে ইইউ পতাকা নামিয়ে ফেলা হবে না। সেখানকরা আইনপ্রণেতারা তাদের ব্রেক্সিট বিরোধিতার প্রতীক হিসেবে পতাকাটি রেখে দেয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। সেই সাথে স্কটল্যান্ডের ইইউপন্থী সরকার শুক্রবার ইইউ পতাকার রঙ নীল ও হলুদে দুটি সরকারি ভবন আলোকসজ্জা করবে।
শুক্রবার ব্রিটেনের ইইউ ছেড়ে যাওয়া এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, তবে এর ফলে শুধুমাত্র ব্রেক্সিট কাহিনীর প্রথম পর্বই শেষ হবে। শনিবার ব্রিটেনবাসী যখন ঘুম থেকে উঠবেন তখন খুব একটা পরিবর্তন টের পাবেন না। যুক্তরাজ্য ও ইইউর মাঝে থাকছে ১১ মাসের ‘পরিবর্তন কাল’। এ সময়ের মধ্যে দেশটি বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয়ে চুক্তি করে জোট থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেবে। এ জন্য আলোচনা মার্চে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।