বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সাথে যুক্ত থাকা নিয়ন্ত্রক বিশেষজ্ঞরা এবং জাতিসংঘ সংস্থার নিজস্ব দল ফাইজার / বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের তথ্য পর্যালোচনা করে বৃহস্পতিবার জানতে পেরেছে যে এটি সুরক্ষা এবং কার্যকারিতার জন্য ডব্লিউএইচও-এর প্রয়োজনীয় মানদণ্ড পূরণ করেছে। খবর ইউএন নিউজ।
ডব্লিউএইচওর সহকারী পরিচালক ডা. মেরিঞ্জেলা সিমাসো বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে এটি একটি অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ।’
‘তবে আমি সবার চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য আরও বৃহত্তর বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিতে চাই,’ বলেন তিনি।
এর আগে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি প্রয়োজনে বায়োএনটেক এবং ফাইজার উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ টিকা ব্যবহারের অনুমোদনের কয়েক সপ্তাহ পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় শর্ত সাপেক্ষে এ টিকা ব্যবহারের অনুমোদনের সুপারিশ করেছে ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি।
গত ২১ ডিসেম্বর বিশেষজ্ঞদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর ইইউ’র ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, ব্যতিক্রম বাদে ১৬ বছরের বেশি বয়সী মানুষের শরীরের এ টিকা দেয়ার অনুমোদন দেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ফার্মাসিউটিকেল সংস্থাগুলোকে আগামী বছর তাদের ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য ফলো-আপ ডেটা জমা দিতে হবে।
ইইউ’র ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান ইমার কুক বলেন, ‘এটি সত্যই এক ঐতিহাসিক বৈজ্ঞানিক অর্জন। মহামারির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
আরও পড়ুন: ফাইজারের টিকার বহুল ব্যবহারের সুপারিশ মার্কিন কমিটির
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন এক টুইটে জানিয়েছেন, ‘ইউরোপীয়দের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন সরবরাহে আমাদের প্রয়াসের অনুমোদন দেয়ার সময়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইএমএ।’
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ টিকা কোনো ‘জাদুর কাঠি’ নয়: ডব্লিউএইচও
বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা উগুর সাহিন বলেন, ‘আজ বায়োএনটেকের ব্যক্তিগত ও আবেগের দিন। ইইউ’র কেন্দ্রস্থলে থেকে আমরা এ বিধ্বংসী মহামারি মোকাবিলার সহায়তায় ইউরোপে সম্ভাব্য প্রথম ভ্যাকসিন সরবরাহে এক ধাপ এগিয়ে যেতে পেরে আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: ফাইজারের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিল কানাডা
সাহিন বলেন, ‘সরবরাহের সবুজ সংকেত পাওয়ার সাথে সাথে ইইউ জুড়ে প্রাথমিক ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ শুরু করার জন্য প্রস্তুত আছি।’
আরও পড়ুন: ফাইজারের কোভিড ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ কার্যকর
এখন পর্যন্ত জার্মান-ভিত্তিক বায়োএনটেকের তৈরি এ ভ্যাকসিনটি কমপক্ষে ১৫ দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে।