সোমবার সকাল ১০টার দিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৮২ জনে। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৪ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ৮১ লাখ ৩৩ হাজার ৬২৭ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৮৭৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: জরুরি ব্যবহারে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন
টিকার দ্বিতীয় ডোজ ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে দেয়ার পরামর্শ
টিকার দ্বিতীয় চালান আসছে ২২ ফেব্রুয়ারি: বেক্সিমকো এমডি পাপন
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ৯ লাখ ৯১ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩০২ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৫০৪ জনের।
মেক্সিকো ১ লাখ ৮০ হাজার ১০৭ জনের মৃত্যু নিয়ে এ তালিকায় তিন নম্বরে থাকলেও রোগীর সংখ্যা নিয়ে আছে ১৩তম অবস্থানে। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২০ লাখ ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ।
রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দেশ হলো- যুক্তরাজ্য (৪১ লাখ ২৭ হাজারের বেশি), রাশিয়া (৪১ লাখ ১৭ হাজারের বেশি), ফ্রান্স (প্রায় ৩৫ লাখ ৯৭ হাজারের বেশি) ও স্পেন (৩১ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি)।
আরও পড়ুন: করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের এক ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগের সুপারিশ ফ্রান্সের
বিশ্বব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন বিতরণে ইউনিসেফের সাথে কাজ করবে এমিরেটস
এদিকে মৃতের দিক দিয়ে বিশ্বে পঞ্চম স্থানে আছে যুক্তরাজ্য (১ লাখ ২০ হাজার ৮১০ জন)। তারপরে ইতালিতে ৯৫ হাজার ৭১৮ জন, ফ্রান্সে ৮৩ হাজার ৫৪৬ জন ও রাশিয়ায় ৮১ হাজার ৯২৬ জন মারা গেছেন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে।
ওই ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮ হাজার ৩৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, এই সময়ের মধ্যে ৩২৭ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৩৫১ জনে পৌঁছেছে।
এর আগের দিন শনিবার একদিনে নতুন পাঁচজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যা ছিল গত ১০ মাসের মধ্যে একদিনে সর্বনিম্ন মৃত্যু। এছাড়া এসমেয়ের মধ্যে ৩৫০ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়।
আরও পড়ুন: দেশে করোনার টিকার অভাব নেই, ভবিষ্যতেও হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রতিদিন অন্তত ২ লাখ মানুষ টিকা গ্রহণ করছেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যাদু বা ম্যাজিক দিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ হয়নি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
গত বছরের ১৫ এপ্রিল একদিনে চারজনের মৃত্যুর কথা জানায় অধিদপ্তর। এরপর থেকে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৪টি পরীক্ষাগারে ১৪ হাজার ২১২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ১৪ হাজার ৩৬টি নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২.৩৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৭৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯১ হাজার ৩৬৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমকি ৪৩ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।