জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়েছে। খবর বিবিসি বাংলার।
সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর এটাই সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন।
দেশজুড়ে বিক্ষোভে ৩০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। ইয়াঙ্গুন, বাগো ও দাওয়েই-এর মতো অন্তত তিনটি শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলি ও রাবার বুলেটে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে স্টানগান ও জলকামান ব্যবহার করা হয়।
অন্যদিকে জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত সেদেশের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থনের আহ্বান জানানোর পর তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
অং সান সু চিকে হটিয়ে সেনাবাহিনী গত ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখলের পর প্রায় প্রতিদিনই দেশটিতে বিক্ষোভ হচ্ছে। দিনে দিনে এই প্রতিবাদের মাত্রা আরও তীব্র হচ্ছে।
এই বিক্ষোভ দমন করতে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো শনিবার থেকে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। তারা প্রচুর সংখ্যক প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব বিক্ষোভের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে পুলিশকে প্রতিবাদকারীদের ওপর লাঠিপেটা করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে ১২০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা মালয়েশিয়াকে স্থগিত করার আহ্বান
গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান ফর্টিফাই রাইটসের
মিয়ানমার জান্তা সরকারের কারফিউ জারি, সমাবেশ নিষিদ্ধ
বাংলাদেশকে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের ব্যাখ্যা দিয়েছে মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফেসবুকের পর মিয়ানমারে এবার বন্ধ হলো টুইটার, ইনস্টাগ্রামও
‘মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করবে জাতিসংঘ’