মিয়ানমারে গণতন্ত্রপন্থী কর্মীরা সামরিক অভ্যুত্থানের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘নীরব ধর্মঘট’ পালন করছে। বুধবার বিক্ষোভকারীরা দেশের জনগণকে নিজ নিজ বাড়িতে থাকার এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
বুধবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী-সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে।
সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ‘অস্বাভাবিক পরিস্থিতির’ মুখোমুখি হচ্ছে।
জান্তার পক্ষ থেকে দেয়া চলতি বছর নির্বাচন করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
তায়জার সান নামক একজন বিশিষ্ট কর্মী এক ফেসবুক পোস্টে বলেছেন যে সামরিক বাহিনীর ‘কারচুপির নির্বাচন... জনগণ মেনে নেয় না’। তার প্রমাণ দেয়ার জন্যই এই ধর্মঘট চালানো হচ্ছে।
আরেকজন গণতন্ত্রপন্থী কর্মী থিনজার শুনলেই ই বলেন, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রয়েছে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে।
তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘নীরব ধর্মঘটের মূল বার্তাটি হলো নিহত নায়ক ও নায়িকাদের প্রতি সম্মান জানানো এবং জনসাধারণের অধিকারকে পুনরুদ্ধার করা।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার বার্তা পাঠানো যে সামরিক বাহিনী ‘আমাদের শাসন করবে না।’
আরও পড়ুন: আশিয়ান: বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য না থাকার ঘোষণা মিয়ানমারের