এই টিকাদান কর্মসূচির সফলতা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তাছাড়া দেশটিতে আমদানি করা টিকার সম্ভাব্য ঘাটতি এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার উদ্বেগের কারণে ভ্যাকসিন নিতে জনগণের অনীহা রয়েছে।
এর আগে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রবিবার ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনাভাইরাস টিকার অনুমোদন দিয়েছে। এটিই দেশটিতে করোনাভাইরাসের জন্য অনুমোদন পাওয়া প্রথম কোনো ভ্যাকসিন। যদিও ডিসেম্বর থেকেই ফাইজারের টিকা অন্যান্য অনেক দেশে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
বিদেশি ভ্যাকসিন নির্মাতাদের ওপর নির্ভরশীলতা ও ভ্যাকসিনের ট্রায়াল স্থানীয় পর্যায়ে হওয়ার আবশ্যিকতার কারণে ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু করতে দীর্ঘ অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছে জাপান।
আরও পড়ুন: কোভিড ভ্যাকসিন সহায়তা নিয়ে আলোচনা করছে বাংলাদেশ, চীন: রাষ্ট্রদূত
জরুরি ব্যবহারে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন
জাপান তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে টিকা সংগ্রহ করছে। এগুলো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার, মডার্না ও যুক্তরাজ্যের অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এর মধ্যে ফাইজারের চার লাখ ডোজ টিকার প্রথম চালান বিশেষ একটি বিমানে গত শুক্রবার টোকিও পৌঁছে।
মঙ্গলবার দেশটির ভ্যাকসিন মন্ত্রী তারো কোনো বলেন, আমদানি করা ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর জাপানে এই কর্মসূচির অগ্রগতি নির্ধারণ করা হবে।
বুধবার সারা দেশে প্রথম পর্যায়ে ১০০টি নির্বাচিত হাসপাতালের প্রায় ৪০ হাজার চিকিৎসক ও নার্স প্রথম ডোজ নেবেন। ১০ মার্চ তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে।
কয়েক সপ্তাহের বিলম্বের পর জাপানে টিকাদান কর্মসূচিটি খুব টাইট শিডিউলে চলবে।
মঙ্গলবার টোকিওর একটি হাসপাতালের করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছার পর বুধবার সকালে স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে টিকা প্রয়োগ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: শিশুদের ওপর করোনার টিকা প্রয়োগের পরীক্ষা চালাবে অক্সফোর্ড
করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের এক ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগের সুপারিশ ফ্রান্সের
জাপানে ৬৪ জনের করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত
তারো কোনো বলেন, গত শুক্রবারে পৌঁছা ফাইজার ভ্যাকসিনের প্রথম চালানটি সারা দেশের নির্বাচিত ১০০টি হাসপাতালের ৪০ হাজার চিকিৎসক এবং নার্সের জন্য যথেষ্ট।
জাপানে গত জানুয়ারি মাসে সর্বোচ্চ করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এখন দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমছে। তবে টোকিওসহ ৯টি জেলায় জরুরি অবস্থা এখনো বহাল আছে।