এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২০ লাখ ৩৯ হাজার ২৮৩ জনে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় চীনের উহানে। সদ্য সমাপ্ত ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ৪০ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: চীনের সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন দিয়ে তুরস্কে শুরু গণ টিকাদান
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৫ লাখ ৭১ হাজারের বেশি এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫২ হাজার ৪১৯ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৮৫ লাখ ১১ হাজারের বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ২৯৯ জনের।
মৃতের সংখ্যায় এর পরেই রয়েছে মেক্সিকো। দেশটিতে মোট মারা গেছেন ১ লাখ ৪০ হাজার ৭০৪ জন। তারপরেই রয়েছে যুক্তরাজ্য। সেখানে ৯০ হাজার ৩১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে অনুমোদন পেল করোনার দুই ভ্যাকসিন
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৯২২ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, ৬৯৭ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ২৮ হাজার ৩২৯ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সোমবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন প্রদানে প্রস্তুত ৭,৩৪৪টি দল, প্রতি দলে ৬ জন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১৯৯ ল্যাবে আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৮২৯টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৭০৭টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ১৬০টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৫ দশমিক ২২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনের প্রথম চালান দেশে আসছে ২৫-২৬ জানুয়ারি: স্বা্স্থ্যমন্ত্রী
নতুন যে ১৬ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১২ এবং নারী চারজন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৬ হাজার চারজন বা ৭৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং নারী এক হাজার ৯১৮ জন বা ২৪ দশমিক ২১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৭৩৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ১৭৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমকি ৫৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ভারতে করোনার টিকা নেয়ার পর ৪৪৭ জন অসুস্থ
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।