ভ্যাকসিন প্রদানে সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের সরকারি হাসপাতালগুলো থেকেই ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। জেলা পর্যায়ের প্রতিটি হাসপাতালে সংরক্ষিত কোল্ড রুমে প্রায় ৪ লাখ ২৫ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া প্রতিটি হাসপাতালে ৫-১০টি আইস ফ্রিজার আছে যেখানে অন্তত ৭১ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রাখা যাবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
কোভিড টিকার কোনো অভাব হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে সারা দেশে বর্তমানে ৭ হাজার ৩৪৪টি দল ভ্যাকসিন প্রদানে যুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি দলে ৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করবেন।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ভ্যাকসিন প্রয়োগ ও বিতরণ সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
উদ্বিগ্ন হবার কারণ নেই, ভ্যাকসিন সময় মতোই পাওয়া যাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভ্যাকসিন প্রদানে কোনো অনিয়ম যাতে না হয় সেজন্য দেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কঠোরভাবে মনিটরিং করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সকল তথ্য যেন মানুষ দ্রুত জানতে পারে সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়মিত ভ্যাকসিন বুলেটিন প্রচার করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন প্রদানে প্রায় ৪২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তৈরি ভ্যাকসিন প্রদান সংক্রান্ত একটি অ্যাপ প্রায় চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’
জানুয়ারির মাঝামাঝিই ভ্যাকসিন পেতে পারি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
‘সরকারিভাবে টিকা প্রদান শুরু করার পর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দেশের বড় বড় বেসরকারি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোও শর্ত সাপেক্ষে ভ্যাকসিন প্রদান করতে পারবে,’ জানান তিনি।
ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড টিকা দেয়ার উদ্যোগ থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সাড়ে ৫ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে এক বছরের বেশি সময় লাগবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী