সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সরকার ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামটা সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে চায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নীতিমালা অনুসারে যারা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, আগে তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সেখানে বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’
তবে যাদের বয়স ১৮ বছরের নীচে তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালেয়র দায়িত্বে থাকা জাহিদ মালেক।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন প্রদানে প্রস্তুত ৭,৩৪৪টি দল, প্রতি দলে ৬ জন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশের সব সাংবাদিকদের যথাসময়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন যথাযথভাবে দেওয়ার জন্য আইসিটি বিভাগ একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। জনগণকে সেখানে নিবন্ধনের মাধ্যমে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা অন্যদের (অন্যান্য দেশের) তুলনায় স্বল্প সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য গত নভেম্বরে (ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে) একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলাম।’
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন নিয়ে দেশে মেগা লুটপাট চলছে: মির্জা ফখরুল
‘আমরা এখন কোভিড- ১৯ এর ভ্যাকসিন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা রাশিয়া, চীন এবং অন্যান্য দেশের সাথেও ভ্যাকসিনের জন্য আলোচনা করছি,’ বলেন তিনি।
জনগণকে যথাযথভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ইতমধ্যে ৪,২০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কারা আগে ভ্যাকসিন পাবে, এ জন্য আমরা একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জাতীয় কমিটি তৈরি করেছিলাম। প্রত্যেক সাংবাদিক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করার কারণে তারাও আগে ভ্যাকসিন পাবেন।’
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন কূটনীতির লড়াইয়ে নেমেছে যেসব দেশ
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে করোনাভাইরাস আসার প্রথম থেকেই প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে প্রতিরোধে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছিল। ফলে মহামারিটির দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালে দেশে মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
ডিআরইউ সভাপতি মোরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে ডিআরইউ এর অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।