যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন শহরের এক অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং থেকে বিতাড়িত হওয়া এক ব্যক্তি অন্য পাঁচ ভাড়াটিয়াকে গুলি করেছে। এতে তিনজন মারা গেছে। তাদের বাহিরে বের করার জন্য রবিবার সকালে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে পুলিশের গুলিতে হামলাকারীও নিহত হয়েছেন।
রবিবার রাত ১টার দিকে দক্ষিণ-পশ্চিম হিউস্টনের একটি শিল্প-আবাসিকের সংমিশ্রিত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ প্রধান ট্রয় ফিনার বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
তিনি আরও বলেন, অন্য ভাড়াটিয়ারা যখন ঘর থেকে বের হচ্ছিল তখন বন্দুকধারী সম্ভবত একটি শটগান দিয়ে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যায় এবং একজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস আহত দুজনকে উদ্ধার করে। যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যখন আগুন নেভানোর কাজ করছিল তখন হামলাকারী ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশ তাকে চিহ্নিত করে গুলি করে হত্যা করার আগ পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে থাকে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে সহকর্মীর গুলিতে নিহত ৩
কারও পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। ফিনার জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিস বা পুলিশের কেউ আহত হয়নি।
ফিনার বলেন, ‘আমি অনেক ঘটনা দেখেছি, কিন্তু ৩২ বছরে এরকম ঘটনা দেখিনি। এধরনের ঘটনা সময়ে সময়ে ঘটতেই থাকে। সমাজের বাসিন্দারা যেন একত্রে থাকে আমরা তার আর্জি জানাই।’
রবিন আহরেন্স নামের এক প্রতিবেশী হিউস্টন ক্রনিকলকে বলেন, কাজে বের হওয়ার জন্য প্রস্তুতির সময় প্রাথমিকভাবে তিনি মনে করেন যা দেখছেন তা ছিল আতশবাজি।
তিনি আরও বলেন, আমি ভাগ্যবান যে বাইরে যাইনি। লোকটি হয়তো আমাকেও গুলি করত। বন্দুকধারীর কোলন ক্যান্সার ছিল। বাড়িভাড়াও বাকি ছিল। কোনো চাকরি ছিল না। কয়েকদিন আগেই জানতে পারেন তাকে বের করে দেয়া হয়েছে। নিশ্চয়ই গত কয়েকদিনে কঠিন কিছু হয়েছিল যা সে সহ্য করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে গোলাগুলিতে নিহত ১, আহত ৫