চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সরকারি পদক্ষেপ নিয়ে রবিবার অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আরও পড়ুন: বেড়েছে চালের দাম, সবজি ও তেলের দামও বাড়তি
তিনি জানান, বৈধ আমদানিকারকরা বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্রসহ আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করবেন। পরবর্তীতে একটি নীতিমালার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে খাদ্য মন্ত্রণালয় চাল আমদানির অনুমতি প্রদান করবে।
নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: লকডাউন আতঙ্কে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম
সাধন চন্দ্র জানান, বেসরকারিভাবে চাল আমদানির শুল্ক কমানোর বিষয়টি গত ২৪ ডিসেম্বর অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে বৈধ আমদানিকারকরা খাদ্য মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করতে পারবেন। তারপর আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কাকে কতটুকু চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হবে,’ বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাসিন্দারের শীতেও ঘাম ঝরাচ্ছে সবজির দাম
তিনি জানান, ইতোমধ্যে সরকারিভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি ও জিটুজি পদ্ধতিতে চার লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হচ্ছে।
খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আজিজ মোল্লাসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: চালের দাম বৃদ্ধির কোন কারণ নেই: খাদ্যমন্ত্রী
গত বছরের তুলনায় ঢাকায় চালের দাম ২৮.০৬ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে মানুষের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
গত ২২ ডিসেম্বর ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, বিগত বছরের তুলনায় মোটা চালের দাম কেজি প্রতি ৪৭.৬৯ শতাংশ বেড়েছে, তবে মাঝারি চাল ২৩.৩৩ শতাংশ এবং সরু জাতের চাল ১৭.১৪ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: শীতের সবজিতে সয়লাব নওগাঁর হাট-বাজার
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি মোটা চালের দাম আগের বছরের তুলনায় ৩০-৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪৬-৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে, মাঝারি জাতের দাম ৪০-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৩-৫৮ টাকা এবং সরু জাতের চাল ৪৫-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৮-৬৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে।