প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১ অক্টোবর, ২০২২ থেকে রেমিটেন্সের জন্য প্রতি মার্কিন ডলার ১০৮ টাকার পরিবর্তে সর্বোচ্চ ১০৭ দশমিক ৫ টাকা পাবেন।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) বৈদেশিক মুদ্রার বাজারকে স্থিতিশীল করতে আগামী মাসে রেমিটেন্সের জন্য এই হার নির্ধারণ করেছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করা হলে বর্তমান রেমিটেন্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
অর্থনীতিবিদ ও পিআরআই-এর চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, যখন খোলা বাজারে প্রতি ডলারের দাম ১১৪ টাকার বেশি হয়, তখন আরও রেমিটেন্স আকর্ষণ করার জন্য এটি সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুঁজতে তুরস্ক যাচ্ছে ডিসিসিআই’র প্রতিনিধি দল
তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্তটি অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোকে উৎসাহিত করতে পারে, যার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের সংকট সমাধানে কোনো সহায়তা হবে না।
সিপিডি-এর বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, যখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের চাহিদা বাড়তে থাকে তখন বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করা সহায়ক নয়।
তিনি বলেন, মার্কিন ডলারের বিভিন্ন দামে অসঙ্গতি সৃষ্টি করবে এবং রেমিটেন্স প্রবাহকে নিরুৎসাহিত করবে।
প্রফেসর মুস্তাফিজুর বলেন, ফলে অবৈধ খাতকে উৎসাহিত করা হবে এবং ব্যাংক ও খোলা বাজারের মধ্যে বিনিময় হারের পার্থক্য বৃদ্ধি পাবে।
সোমবার অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রেরকরা প্রতি মার্কিন ডলার সর্বোচ্চ ১০৭ দশমিক ৫ টাকা পাবেন। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর, এবিবি ও বাফেদা রেমিটেন্সের জন্য প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ মূল্য ১০৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল।
তবে, রপ্তানি আয় নগদীকরণের ডলারের হার আগের মতোই থাকবে প্রতি ডলার ৯৯ টাকা। আমদানি দায় পরিশোধ এবং আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের মূল্য প্রবাসী ও রপ্তানি আয় থেকে কেনা ডলারের গড় মূল্যের চেয়ে ১ টাকা বেশি হবে।
বৈঠক শেষে বাফেদা’র চেয়ারম্যান আফজাল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ডলারের বাজার স্বাভাবিক রাখতে সময়ে সময়ে মূল্য পর্যালোচনা করার কথা ছিল। ‘এরই ধারাবাহিকতায় আমরা নতুন দাম নির্ধারণ করেছি। নতুন দাম ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।’