প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ) মো. আকতার হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের নিকট পাঁচ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার ৪১৯ টাকার একটি চেক হস্তান্তর করে।
আরও পড়ুন: শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে প্রায় ৩০ কোটি টাকা দিলো গ্রামীণফোন
সরকারি এ প্রতিষ্ঠানের গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের লাভের নিদিষ্ট অংশ দুই কোটি ৪৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৭৩ টাকা এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দুই কোটি ৬৫ লাখ ৯৮ হাজার ৯৪৬ টাকা শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে জমা দেয়া হয়।
শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের কল্যাণের জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী সরকার ফাউন্ডেশন তহবিল গঠন করে। শ্রম আইন অনুযায়ী, কোম্পানির নিট লাভের শতকরা পাঁচ ভাগের এক দশমাংশ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে জমা প্রদানের বিধান রয়েছে। এ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি এবং বহুজাতিক মিলে ১৭৬ কোম্পানি এ তহবিলে অর্থ প্রদান করছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে শ্রমিকদের চিকিৎসায় ৬ কোটি
তহবিলে এখন পর্যন্ত জমার পরিমাণ প্রায় ৪৯৬ কোটি টাকা। অন্যদিকে এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের প্রায় সাড়ে ১০ হাজার শ্রমিককে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এ তহবিল থেকে শ্রমিকদের কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে, আহত, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের উচ্চ শিক্ষায় সহায়তা দেয়া হয়। করোনার এ দুর্যোগের সময়ে এ বছর প্রায় দুই হাজার শ্রমিককে এ তহবিল থেকে প্রায় সোয়া ৬ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ১২ হাজারের বেশি পোশাক শ্রমিক নেবে জর্ডান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব কেএম আবদুস সালাম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের সিবিএ সভাপতি মো. সাদিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. হামিদুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে: প্রতিমন্ত্রী
মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড বিগত চার দশক যাবৎ পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য বিপণন করে দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত আছে। এটি ১৯৭৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে কোম্পানি আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৭ সালের ২৯ মে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয় এবং এর অনুমোদিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। ২০১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি কোম্পানিটি বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন ১০৮.২২ কোটি টাকায় উন্নীত করে।
কোম্পানিটি পরিচালনার জন্য বর্তমানে নয় সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ রয়েছে। কোম্পানির সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা বোর্ডের অনুমোদক্রমে সম্পাদিত হয়।
আরও পড়ুন: চিনিকল বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নাটোরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ