রবিবার ভোট শুরুর ঘণ্টাখানেক পর নিজ বাসভবনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী একেএম শাহজাহান কামালের লোকজন বেশির ভাগ কেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের জিম্মি করে ব্যালট পেপার নিয়ে নৌকা মার্কা সিল মেরেছে।
এছাড়া সকালে ভোট শুরুর আগে ধানের শীষ প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা এবং যারা কেন্দ্রে ঢুকে তাদের মারধর করে বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে নৌকা মার্কায় সিল মারা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এ্যানি।
বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগ, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নেয়া হয়েছে। তাই অনতিবিলম্ভে এই ভোট বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
লক্ষ্মীপুর-১ আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী শাহাদাত হোসেন সেলিম একই অভিযোগ করছেন। এদিকে লক্ষ্মীপুর-৪টি আসনের ভোট কেন্দ্রেগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম।
অপরদিকে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের মকরধ্বজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে ব্যালট পেপার ও বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ মজুমদার।
তিনি জানান, ভোট শুরুর কিছুক্ষণ পর কয়েকজন যুবক কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে ব্যালট পেপার ও ব্যালট বক্সের ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনসহ পাঁচ জন আহত হন। এরপর ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।