বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে যেমন করেছিল, আবারও সেভাবে ভোট ছিনতাই করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, তাদের অবস্থান পরিষ্কার যে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না; তাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং সংসদ ভেঙে দিতে হবে। ‘তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই নিরপেক্ষ সরকারই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবে।’
শনিবার বরিশাল পৌর এলাকার বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে জনতার উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য হাস্যকর: মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, ‘তারা দেখানোর চেষ্টা করছে যে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিরপেক্ষ, যিনি বলছেন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে নির্বাচন হবে। কিন্তু আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করেছি।’
তিনি বলেন, সরকার বারবার বলে আসছে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং সর্বত্র উন্নয়ন হচ্ছে।
ফখরুল বলেন, ‘কিন্তু বাস্তবতা হলো বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ মানুষ এখনও দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে।’
তিনি বলেন, বিএনপির চলমান আন্দোলন শুধু চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, তারেক রহমান বা কোনো নেতাকে বাঁচানোর জন্য নয়; বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্যও।
তিনি দলীয় কর্মী ও নেতাদের কৃতিত্ব স্বীকার ও প্রশংসা করেন, যারা বৃহস্পতিবার থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধের মধ্যেও সকল বাধা উপেক্ষা করে অনুষ্ঠানস্থলে এসেছেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বরিশাল নগরীতে বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দেন বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে সমাবেশ শুরু হয়। ভিড় ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের রাস্তায়।
শনিবারের সমাবেশটি বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির পঞ্চম সমাবেশ। প্রথমটি অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামে, দ্বিতীয়টি ময়মনসিংহে এবং তৃতীয় ও চতুর্থটি যথাক্রমে খুলনা ও রংপুরে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে তারা শ্মশান করে দিয়েছে: চট্টগ্রামে মির্জা ফখরুল