বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বাংলাদেশকে 'ডিপ স্টেটে' পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, ‘তারা (আ.লীগ) আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ, প্রশাসনসহ রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছে। এর মানে তারা ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে একটি ‘ডিপ স্টেটে’ পরিণত করেছে।’
মঙ্গলবার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ জন্মগতভাবেই একটি সন্ত্রাসী দল কারণ তারা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মতো জাতীয় নেতাকে পিটিয়ে দল থেকে বের করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সংঘর্ষের পর গয়েশ্বর ও আমানসহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের আটক করেছে পুলিশ
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (আ.লীগ) নিজেরাই সন্ত্রাসী। তাই তারা দেশকে একেবারেই সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়ে টিকিয়ে রাখা দল। তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছুই নেই।’
শনিবার ধোলাইখালে দলের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপির কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ শাখা।
পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন এবং আটকের পর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দলীয় নেতা আমানউল্লাহ আমানের জন্য উপহার পাঠানোর বিষয়ে ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে সরিয়ে দিতে সরকার এটা করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনে আ.লীগ গুগলিতে বোল্ড আউট হয়ে গেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে এতটাই দেউলিয়া হয়ে গেছে যে তাদের এখন এসব করতে হচ্ছে এবং ভিডিও ছড়াতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ শিষ্টাচার জানে? তারা এটা জানেন না. আওয়ামী লীগ কখনই ভদ্রলোকের দল ছিল না। সুতরাং, তাদের কাছ থেকে ভদ্রতা আশা করার কোন কারণ নেই।’
তিনি আরও বলেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমান উল্লাহ আমানের দেশপ্রেম নতুন করে প্রমাণ করার দরকার নেই। ‘তারা তাদের আজীবন রাজনীতি এবং গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে তাদের দেশপ্রেম প্রমাণ করেছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ২৮ জুলাই নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে লাখ লাখ মানুষের সমাগম দেখে সরকার ভীত হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন,বিএনপি নয় অগ্নিসংযোগে লিপ্ত আওয়ামী লীগ। ন্যায্য ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে সরকারকে পদত্যাগ ও সংসদ ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানান ফখরুল। ‘সংকট কাটিয়ে ওঠার এটিই একমাত্র উপায়।’
আরও পড়ুন: হামলার প্রতিবাদে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসমাবেশ শুরু