বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থতায় বিএনপির আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত।
তবে তিনি জানান, বর্তমানে তিনি রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন।
মঙ্গলবার হাফিজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থতায় নির্বাচনে যাওয়া। বিএনপি নির্বাচনে যোগ দিলে আমি সেই নির্বাচনে অংশ নেবো।’
তিনি নতুন দলে যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মন্তব্যের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এই বিএনপি নেতা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তিনি বলেন, ‘আমি শুধু বলতে পারি যে আমি রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি...আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। আমি এই মুহূর্তে রাজনীতি নিয়ে ভাবছি না।’
৭৯ বছর বয়সী হাফিজ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার জন্য দুই মাস আগে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে, অভিযোগ হাফিজউদ্দিনের
তিনি জানান, অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য ভিসার জন্য আবেদন করব।’
হাফিজ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রথম সামরিক ব্রিগেড 'জেড ফোর্সের' অধীনে যুদ্ধ করেন।
সাহসিকতার জন্য তিনি বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ বীরত্ব পুরস্কার বীর বিক্রমে ভূষিত হন।
সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন এবং ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসন থেকে ছয়বার এমপি নির্বাচিত হন।
২০০১ সালে বিএনপি গঠিত সরকারে তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। হাফিজ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।
২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে হাফিজকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
পরে একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার বিরুদ্ধে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশে উল্লিখিত অভিযোগগুলিকে অসত্য বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, পার্টির নোটিশের ভাষা ‘আক্রমণাত্মক’ এবং তা ‘সৌজন্য ও প্রটোকল বিরোধী’। তার বিরুদ্ধে এ ধরনের নোটিশ জারি করায় তিনি অপমানিত বোধ করেছেন।
আরও পড়ুন: জনাকীর্ণ কারাগারে মানবিক সংকটে বিএনপির নেতা-কর্মীরা