তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ ভালো করেই জানে যে তাদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। আওয়ামী লীগের বড় বড় মাথারা বলে দেশে বিএনপি বলে কিছু নেই। অথচ কথায় কথায় তারাই সারাক্ষণ সমালোচনা করে বিএনপিকে জনমনে টিকিয়ে রেখেছে।'
বিএনপির কথা ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখে কোনো কথা বের হয় না। কারণ তারা জানে বিএনপিই একমাত্র শক্তি যারা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অপকর্মের প্রতিবাদ করতে পারে, বলেন ফখরুল।
বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের কালিবাড়িতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিচার বিভাগের দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের হুকুম পালন করা। অনেক সময় দেখা যায় তারা পুলিশের থেকেও বড় ভূমিকা পালন করে।’
১৯৭১-৭৫ সময়কালীন সরকারের পটভূমি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, তখন আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে যাওয়া যেত, বিচার পাওয়া যেত। কিন্তু এখন এমন রাজনৈতিক সংস্কৃতি তারা প্রতিষ্ঠা করেছে এখন আর কারও কাছে যাওয়া যায় না, বিচারও পাওয়া যায় না।
ধর্ষণ প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন ভূমিকার কথা বললেও সেগুলো কোথায় তা জানতে চান ফখরুল।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের পদত্যাগ করা উচিত: কাদের
বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন একটি নৈতিকতার আন্দোলন। এতে আমাদের সমর্থন রয়েছে। আমরাও সারা দেশে আন্দোলন করেছি। এখন যারা প্রতিবাদ করছেন তাদের আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা মারধর করছে। এটা কোনো সরকারের কর্মকাণ্ড হতে পারে না।'
এ সময় অন্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মির্জা ফয়সাল আমিনসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও আসেন মির্জা ফখরুল। তিনি সদর উপজেলার দানারহাট গ্রামে গিয়ে সম্প্রতি প্রয়াত জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মাওলানা মো. আব্দুল হকের কবর জিয়ারত করেন ও তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং অন্য প্রয়াত নেতা-কর্মীদের বাসায় গিয়ে খোঁজখবর নেন।