পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর নারী ও জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্যের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘পদত্যাগই যথেষ্ট নয়। গ্রেপ্তার করে তার (মুরাদ) বিচার করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ডা.মুরাদের মতো একজন ব্যক্তি রাজনীতি করতে অক্ষম।
রিজভী বলেন, ‘সে (মুরাদ) অশালীন মন্তব্য করেছে। তাকে কেবল মন্ত্রিসভা থেকে নয়, (ক্ষমতাসীন) দলের সকল স্তরে তার পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।’
তিনি বলেন,‘আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য মুরাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তার বিচার হওয়া উচিত এবং শাস্তি হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: মুরাদের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যে দল ও সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে: তথ্যমন্ত্রী
এদিকে নারীদের নিয়ে অশোভন ও অশালীন মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান। চাকরি ছাড়ার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন এই প্রতিমন্ত্রী।
সম্প্রতি নারীদের প্রতি বিভিন্ন অসম্মানজনক মন্তব্যের জন্য মুরাদ বিভিন্ন মহলে ক্রমবর্ধমান সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। তার অশালীন মন্তব্য সম্বলিত বেশ কয়েকটি অডিও এবং ভিডিও গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন ও অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার দুই বছর আগের একটি ফোনালাপ সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই অডিও ক্লিপে মুরাদ অভিনেত্রীকে বিভিন্ন ‘অপমানজনক মন্তব্য’ করেছিলেন, তাকে হুমকি দিয়েছিলেন এবং তাকে অশালীন প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রতিক অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।
সোমবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মুরাদকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার এবং নারী ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে তার ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, জাতিগত ও অবমাননাকর’ মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নারীদের কাছে ‘ক্ষমা’ চাইলেন মুরাদ