হাইকোর্টের দেয়া জামিনাদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
ড. মো. বশির উল্লাহ বলেন, গত ৬ মার্চ এ মামলায় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল। আজ হাইকোর্টের দেয়া জামিনাদেশ স্থগিত করে আগামী ৭ এপ্রিল পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন চেম্বার আদালত।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার আদালত খালেদার জামিন নামঞ্জুর করেছিল। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। গত ৫ মার্চ এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয় এবং ৬ মার্চ জামিন দেয় হাইকোর্ট।
মামলার অভিযোগ, বিএনপি-জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি নৈশ কোচে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। আইকন পরিবহনের ওই বাসটি কক্সবাজার থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। এ সময় ওই আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলে সাতজন নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর আরও একজন মারা যান। এঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরির্দশক (এসআই) নূরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন।