মিজানুর রহমান বাদল উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চরকালী গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলম চৌধুরীর ছেলে। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে আ’লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিকের ঢাকায় মৃত্যু
বিকাল ৪টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো.আলমগীর হোসেন।
তিনি বলেন, একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হবে।
অপরদিকে, বসুরহাট পৌর এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে মিজানুর রহমান বাদলের ছোট ভাই রহিম উল্যাহ বিদ্যুত অভিযোগ করেন, বৃস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে কয়েকজন সাদা পোশাকধারী নোয়াখালী প্রেসক্লাব এলাকা থেকে তার ভাইকে তুলে নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
উল্লেখ্য, গত দেড় মাস ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিহবন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই মেয়র মির্জা কাদেরের সাথে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের বিরোধ চলে আসছে। এক পর্যায়ে এলাকায় দুইবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলিতে ২০ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির ও ৯ মার্চ সিএনজি চালক ও যুবলীগ কর্মী আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে ধর্ষণের শিকার দুই শিক্ষার্থী, গ্রেপ্তার ১