গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং খালেদা জিয়ার সম্পূর্ণ মুক্তি এখন বিএনপির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের অভাবে মানুষ আজ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কারণ নির্বাচন কমিশন একটি অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।’
বুধবার বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল এসব মন্তব্য করেন।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার জন্য ১৯ দফা কর্মসূচি নিয়ে দলটি প্রতিষ্ঠা করেন।দিনটি উপলক্ষে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠন আলোচনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে।
ফখরুল বলেন, ‘ছদ্মবেশে একদলীয় স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা করে পুরো প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। ৪৩ বছর বিভিন্ন সংগ্রামের পর বিএনপি আজ (বুধবার) ৪৪ বছরে পা দিয়েছে। বিএনপির জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা।
আরও পড়ুন: ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছে বিএনপি
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন বাধা ও দমনমূলক কর্মকাণ্ড সত্ত্বেও বিএনপি নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে এবং ৫০০ জনকে গুম করা হয়েছে।’
ফখরুল জানান, তারা তাদের দলকে পুনর্গঠন করার জন্য কাজ করছেন এবং রাস্তায় নামার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি আগামী বছর এবং পরের বছর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হব।’
বিএনপি মহাসচিব বহুদলীয় গণতন্ত্র, দেশে মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রবর্তন এবং বিভিন্ন সংস্কার ও কার্যকর পদক্ষেপের সাথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে জিয়ার ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার শত্রুরা যখন জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে, তখন সবাই ভেবেছিল বিএনপি তার অস্তিত্ব হারাতে পারে। কিন্তু তার যোগ্য উত্তরসূরি এবং গণতন্ত্রের আপসহীন নেতা খালেদা জিয়া দলের হাল ধরেন। তিনি দীর্ঘ নয় বছর ধরে সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন।’
ফখরুল আরও বলেন, জাতির জন্য এটা দুর্ভাগ্যজনক যে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে। সরকার তাকে 'মিথ্যা' মামলায় জড়িয়েছে।