বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভ করবে দলটি।
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে বিক্ষোভ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের দল ও সহযোগী সংগঠনগুলো ঢাকা বাদে সব বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে এ বিক্ষোভ করবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর ব্যয় নিয়ে বিএনপির মহাসচিব অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছেন: ওবায়দুল কাদের
এর আগে সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পদ্মা সেতু নিয়ে খালেদা জিয়াকে সম্পৃক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর ‘অশালীন’ মন্তব্যের প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা।
গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের এক বৈঠকে বলেন, খালেদা জিয়া একবার বলেছিলেন পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে তৈরি হওয়ায় ব্যবহার করতে গিয়ে ভেঙে পড়বে। তিনি বলেন, ‘এখন তাদের কী করা উচিত? তাদের পদ্মা সেতুতে নিয়ে যেতে হবে এবং সেখান থেকে নদীতে ফেলে দিতে হবে।’
পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্বব্যাংকের তহবিল বন্ধের চেষ্টার জন্য প্রধানমন্ত্রী শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসেরও সমালোচনা করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসসহ দেশের প্রবীণ নাগরিকদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর ‘অসম্মানজনক’ মন্তব্যের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু আজ
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সভানেত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্য বেগম খালেদা জিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার শামিল। অনির্বাচিত সরকার প্রধানের এই মন্তব্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। কারণ নির্বাহী শাখার প্রধান যখন কাউকে পদ্মা সেতু থেকে নদীতে ফেলে দেয়ার হুমকি দেন তখন তা হত্যার নির্দেশের মধ্যে পড়ে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূসকেও একই ধরনের হুমকি দিয়েছেন যা ‘রাজনৈতিক শিষ্টাচার বর্জিত’, ‘অশালীন’ ও ‘অসম্মানজনক’। সভা এ ধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।’