রাজধানীর এভারকেয়ার হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য তার চিকিৎসার জন্য গঠিত ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসেছে।
এর আগে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় সোমবার বিএনপি নেত্রীকে হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খালেদার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং মেডিকেল বোর্ডের অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ আল মামুন বলেন, ‘ম্যাডামের শ্বাসকষ্ট কমে যাওয়ায় তার অবস্থা ভালো আছে। ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড আজ (মঙ্গলবার) সব পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যলোচনা করবে।
তিনি ইউএনবিকে দুপুর ১টার দিকে বলেন, ‘আমি এখন মেডিকেল বোর্ড সভায় যোগ দিতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাচ্ছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে মামুন বলেন, মেডিকেল বোর্ড তার বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করবে এবং বিদেশে তার চিকিত্সা প্রয়োজন কিনা সে বিষয়ে মতামত দেবে।
এদিকে, বিএনপির এক সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেছেন, খালেদার পরিবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চায়এবং তারা এখন এ বিষয়ে সরকারের অনুমতি পাওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে তাদের দলের প্রধানের স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং তার চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর: চিকিৎসক
তবে এ বিষয়ে তাদের মন্তব্যের জন্য ফখরুল বা খালেদার বোন সেলিমার রহমানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।
গত ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা পজিটিভের ফল আসে। তিনি ছাড়াও তার বাসার আট সদস্য করোনায় আক্রান্ত। ২৪ এপ্রিল খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় দফা করোনা পরীক্ষাতেও ফলাফল পজিটিভ আসে।
দুর্নীতির মামলায় ২৫ মাস কারাভোগের পর করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নির্বাহী আদেশে ছয় মাস দণ্ড স্থগিত হওয়ায় গত বছরের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি পান সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
একইদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান তিনি এবং তখন থেকেই গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় অবস্থান করছেন।
গত বছরের ২৭ আগস্ট আরও ছয় মাস এবং এরপর গত ১৫ মার্চ আরও ছয় মাসের জন্য তার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠায় আদালত। পরে হাইকোর্ট তার সাজার মেয়াদ দ্বিগুণ করে। একই বছরে তিনি আরও একটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। যদিও তার দল বলছে, দুটি মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।