শুক্রবার রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় ইয়ুথ ক্লাব মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেন, ‘পাতাল রেল সেবার জন্য আমরা (সম্ভাব্যতা) যাচাই শুরু করেছি। আমরা ঢাকা শহর জুড়ে পাতাল রেল সেবা চালু করব।’
একদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রচারণার অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এ জনসভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ঢাকায় ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছে এবং মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু করেছে। ‘আমরা যানজটমুক্ত ঢাকা শহর তৈরির জন্য বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়েছি।’
তিনি বলেন, তারা নিম্ন-আয়ের মানুষের জন্য ফ্লাট নির্মাণ করবেন। কারণ রাজধানীতে বস্তিবাসী অমানবিক জীবনযাপন করছে। ‘তাদের কাছে ফ্লাট ভাড়া দেয়ার জন্য সরকার বহুতল ভবন নির্মাণ করবে, যাতে তারা দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক ভাড়া দিয়ে সেখানে বাস করতে পারেন।’
‘ইতিমধ্যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। যদি আমরা পুনরায় ক্ষমতায় আসতে পারি তাহলে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করব, যাতে নিম্ন-আয়ের মানুষেরা ভদ্রভাবে জীবনযাপন করতে পারেন,’ যোগ করেন তিনি।
হাতিরঝিলসহ সরকারের বাস্তবায়ন করা বিভিন্ন সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন, তারা ৩০০-ফিট সড়কের পাশে ১০০-ফিটের খাল খনন করবেন, যা রাজধানীর সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি যানজট নিরসনে সাহায্য করবে।
তিনি আরও বলেন, রাজধানীর সৌন্দর্যবর্ধনের স্বার্থে বৈদ্যুতিক তার ও সাবস্টেশনগুলো মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া হবে।
দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং পদ্মা সেতু, রপরূপ পামাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও কর্ণফুলী টানেলসহ চলমান মেগা প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করে দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলেতে শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের সহিংসতার জন্য বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, যারা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না তারা কীভাবে ধানের শীষের জন্য ভোট চায়। ‘নূন্যতম মানবিকতা বোধ থাকলে তারা মানুষকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারতে পারত না।’
বিএনপি দুর্নীতিতে দেশকে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন করেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার উভয় ছেলে দেশ থেকে টাকা পাঁচার করেছে এবং তাদের অপকর্ম বিদেশে সনাক্ত হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হাওয়া ভবন খুলে কোনো দুর্নীতি করেনি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জনসভায় ঢাকা-১ আসনের প্রার্থী সালমান এফ রহমান এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের আট আসনের (ঢাকা-১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮) দলীয় প্রার্থীদের ভোটারদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন।