ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা মারধরের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন সিলেটের কানাইঘাট সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এম আব্দুল্লাহ আল হাদী (২৫)।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন ডাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মারধরের শিকার এম এম আব্দুল্লাহ আল হাদী রাজধানীর শাহবাগ থানায় শুক্রবার রাতেই মামলার আবেদন করেছেন। আবেদনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা, জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী পলাশ, ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী রুদ্রিক রাব্বির নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আট থেকে নয় জনের কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: সেগুনবাগিচা থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
মামলার আবেদনে আব্দুল্লাহ আল হাদী অভিযোগ করেন, তিনি সিলেট থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির সাথে দেখা করার জন্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আসেন। ঘটনার দিন রাত আনুমানিক দশটার সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাসের এক পাশে বসে ছিলেন। এ সময় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা ও তার সহযোগীরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে এক পর্যায়ে আমির হামজার নেতৃত্বে তাকে মারধর করা হয়।এ সময় রাব্বির তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি ষ্টিলের পাত দিয়ে মাথার পেছন দিকে আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। অভিযুক্তরা তার মুঠোফোন ও সাথে থাকা অর্থ ছিনিয়ে নেয়। পরে তার চিৎকারে আশেপাশের লোক জড়ো হলে অভিযুক্তরা তাকে হুমকি দিয়ে সটকে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, 'উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় আমি রিকশা যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার মাথার জখমস্থানে ১৩টি সেলাই করেছেন।'
আরও পড়ুন: করোনার টিকা উৎপাদনে এএফসি-ঢাবির চুক্তি
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে আমির হামজার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি হামলার দায় অস্বীকার করেন। তিনি ইউএনবিকে বলেন, 'আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিতই ছিলাম না। আমি নয়টা পর্যন্ত মধুর ক্যান্টিনে ছিলাম। তারপর ছাত্রলীগ সভাপতির জন্মদিনের কেক কাটার জন্যে রোকেয়া হলের সামনে যাই। আমি নোংরা রাজনীতির শিকার।'
হামলায় জড়িত হিসেবে অভিযুক্ত বাকিরাও ঘটনার দায় অস্বীকার করেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মওদুত হাওলাদার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন বলে জানান। তিনি বিস্তারিত জানতে পুলিশের রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি’র দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ সত্য নয়
হারুন অর রশীদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।' মামলা গ্রহণ করা হয়েছে কি না সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।