বিএনপি অভিযোগ করেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার বিবৃতি দিয়ে গণবিরোধী অবস্থান নিয়েছে এবং বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ এনেছে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় লিফলেট বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, মন্ত্রণালয় একতরফা নির্বাচনের পক্ষে ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছে যে বিএনপি ও তার সহযোগীরা বাংলাদেশে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করছে এবং তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য অবরোধ কার্যকর করার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘ফেসবুকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পোস্ট করা বিবৃতি সঠিক নয়। গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছে এটা এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে বাংলাদেশে একটি একপেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নব্য রাজাকারের ভূমিকা নিয়েছে।’
তিনি বলেন, দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। ‘এটি একটি গণবিরোধী পদক্ষেপ। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।’
রিজভী দাবি করেন, ৬৩টি রাজনৈতিক দল এবং বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ একতরফা সাজানো নির্বাচন বর্জন করেছে। তারাও (বিএনপি) নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।
রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে একতরফা নির্বাচন করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায় সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আজ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ঘোষণা বিএনপির