র্যাবের পরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, বিকালে বাহিনীর একটি দল ইরফানের পুরান ঢাকার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
র্যাব বাসা থেকে ইরফানের দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকেও আটক করেছে।
বিকালে এ প্রতিবেদন তৈরি করা পর্যন্ত অভিযান চলছিল বলে জানান আশিক বিল্লাহ।
এর আগে, নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফের ওপর ‘হামলা’র অভিযোগে ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে রবিবার রাতে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমসহ চারজন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে অভিযুক্ত করে মামলাটি করেন লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ।
অভিযুক্ত অপর তিনজন হলেন- এবি সিদ্দিক দিপু (৪৫), মোহাম্মদ জাহিদ (৩৫) ও মো. মিজানুর রহমান (৩০)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ রবিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে নিলক্ষেত থেকে তাদের বাসা মোহাম্মদপুরে ফিরছিলেন। পথে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়।
এরপরই কয়েক ব্যক্তি গাড়ি থেকে বের হয়ে এসে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফকে ‘শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত’ এবং তার স্ত্রীকে ‘গালিগালাজ’ করেন। এক পর্যায়ে তারা নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে হুমকিও দেয়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী মোবাইল ফোনে ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন, যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম আলী মিয়া জানান, ওই গাড়ির চালক মিজানুর রহমানকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।