তারা হলেন কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন পিকুর সমর্থক ইশাদ হোসেন (২৫) ও রুম্মান (৩০)।
রবিবার রাতে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তারা মারা যান। এর আগে কেশবপুর বাজারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন পিকুর সাথে সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলুর দীর্ঘদিন ধরে কোন্দল চলে আসছে। সর্বশেষ দলীয় সভা করা নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে লাভলুর সমর্থক রফিককে মারধর করেন পিকুর সমর্থকরা। পরে রফিকের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে ১০ জনকে আহত করে।
এ ঘটনায় পিকুর সমর্থক ইব্রাহিম বাদী হয়ে রফিকসহ প্রায় ২০ জনকে আসামি করে বাউফল থানায় মামলা করেন। এ মামলার জের ধরে রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কেশবপুর বাজারে রফিক ও তার দলবল পিকুর সমর্থক ইব্রাহিম ও রুম্মানের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় এবং ইশাদকে কুপিয়ে আহত করে।
এ বিষয়ে সালাউদ্দিন পিকু বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মামলা করায় লাভলুর ক্যাডারা বাজারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হাত-পায়ের রগ কেটে তার ভাইসহ দুজকে হত্যা করেছে।
বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) মামুন বলেন, দুপক্ষের সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে এ পর্যন্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে।