জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হতো না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হতো না। ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা এই স্বাধীন দেশ পেয়েছি।’
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ’ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: একাত্তরের পরাজিত শক্তি আবার মাথাচারা দিয়েছে: তোফায়েল
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু টুঙ্গিপাড়ায় ঘুমিয়ে আছেন। আর কোন দিন আসবেন না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু হয়নি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে। যতদিন বাংলার মাটি ও মানুষ থাকবে। ততদিন বাঙালি জাতির হৃদয়ের মনের মনিকোঠায় জাতির পিতা চিরদিন বিরাজ করবে।’
তিনি বলেন, জাতির পিতার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এই লক্ষ্য বুকে ধারণ করে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, এই পাকিস্তান বাঙালিদের জন্য হয় নাই। একদিন বাংলার ভাগ্য নিয়ন্তা বাঙালিদেরকেই হতে হবে।
আরও পড়ুন: এখন গ্রামে গেলে শহর মনে হয়: তোফায়েল
আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বলেন, ‘জাতির পিতা ছিলেন বিচক্ষণ নেতা। জেল জুলুম অত্যাচার মৃত্যুকে তিনি পরোয়া করতেন না। বার বার ফাঁসির মঞ্চে গিয়ে মৃত্যুকে অলিঙ্গন করেছেন। কিন্তু মাথা নত করেননি।’
তোফায়েল বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যার পরে তার নাম নেয়া যেত না। ৭ মার্চের ভাষণ আমরা মাইকে প্রচার করতে পারতাম না। স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান বাঁধা দিতেন। কিন্তু আজ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক আলোচনা করা হয়। তিনি আন্তর্জাতিক বিশ্বে একজন মহান নেতা।’
তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। সেদিন আমরা বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াব।’
আরও পড়ুন: বিএনপি ভুলের রাজনীতি করে চলেছে: তোফায়েল
জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় ভোলা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু, ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার, পৌর মেয়র মো. মনিরুজ্জামান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজিত হাওলাদার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব ও মো. ইউনুস প্রমুখ বক্তব্য দেন।