তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেতারা ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাক-র্মীদের পয়সা দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে সম্পাদকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর আহ্বান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮ এ দেশের অবস্থান বিষয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি বলেছে, তাদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য আওয়ামী লীগ যে স্বপ্ন দেখছে, সেটা দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেখুন, আমরা কাউকে নিশ্চিহ্ন করতে চাচ্ছি না। যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে করা হচ্ছে। যেসব নেতাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তারা আগুন সন্ত্রাসের হুকুমদাতা, হোতা ও অর্থদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার হচ্ছে।
তিনি বলেন, ওয়ার্ড পর্যায়ে টেলিফোন করে বিএনপি নেতারা, বিশেষ করে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন বলছেন আগুন সন্ত্রাস চালাতে। সেগুলোর তথ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে আছে।
তিনি বলেন, তারা ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের পয়সা দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে। এটি কোনো রাজনীতি না, কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি না। যারা এ কাজ করছেন, এর সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট, তাদের বিরুদ্ধে কেবল সরকার না, জনগণও ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বিএনপির নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করলে তাতে কোনো বাধা কিংবা আপত্তি নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা এতদিন সবকিছু করেছেন। কিন্তু সমাবেশ শুরুর আগেই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে, জাজেস কমপ্লেক্সে, হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ও পুলিশ হত্যা করেছে।
মন্ত্রী বলেন, এরপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের কয়েক লাখ নেতা-কর্মী দেড় কিলোমিটার দূরে ছিলেন। একজনও তাদের সমাবেশের দিকে যাননি।
বিএনপি নিশ্চিহ্ন হওয়ার জন্য আর কাউকে লাগবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে মুসলিম লীগের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারেক রহমানই যথেষ্ট।
আরও পড়ুন: আইএস-তালেবানের কায়দায় বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা: তথ্যমন্ত্রী
পরিবেশ ইস্যুতে তথ্যমন্ত্রী জানান, পৃথিবীতে তাপমাত্রা বেড়েছে, এ বছর আরও বাড়বে। একই সঙ্গে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আমরা যেটি দেখতে পাচ্ছি, যেখানে বন্যা হতো না সেখানেও বন্যা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এ পরিস্থিতি আমাদের সচেতনতা যে পর্যায়ে থাকার কথা ছিল সেটি হয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে না। সেটি যদি হতো তাহলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাধতো না, যুদ্ধের জন্য বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার খরচ হতো না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক হচ্ছে বিভিন্ন দেশের রাজনীতি অস্ত্রবাজদের খপ্পরে পড়েছে। বিভিন্ন দেশের রাজনীতি যারা অস্ত্রের ব্যবসায়ী তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। সেই অস্ত্র ব্যবসায়ীদের অস্ত্র বিক্রি করার স্বার্থে কিছু-কিছু দেশের, বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ লাগাতে হয়, যাতে অস্ত্র বিক্রি হয়।
এ সময় পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রতিবেদন প্রকাশ এবং জনসচেতনতা তৈরির জন্য আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম পরিবেশ বিষয়ে মানুষকে জানানোর ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সে কারণে এ ফোরামের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং ফোরাম সে লক্ষ্য সেই নিয়ে কাজ করছে, সেজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন তথ্যমন্ত্রী