তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করছে। তার প্রমাণ পিরোজপুর। সেখানকার আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির (একেএম আউয়াল) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতা-কর্মী অপরাধের দায়ে কারাগারে রয়েছেন।’
বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করার অধিকার বিএনপির নেই। তাদের আমলে কোনো আদালত স্বাধীন ছিল না। ল ডিগ্রি ছাড়া হাইকোর্টের বিচারক নিয়োগ দিয়ে তারা রাতের আঁধারে কোর্ট বসাত। সে কথা এখনও মানুষের মনে আছে।’
পিরোজপুরের বিচারককে বদলির বিষয়ে এরই মধ্যে আইনমন্ত্রী ব্যাখ্যা দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে (সরকারি) দলের এমপিদের বিচার হচ্ছে। খালেদা জিয়া দুর্নীতি করেছেন বলে তিনিও সাজা ভোগ করছেন। অথচ বিএনপি-জামায়াত জোট বলছে এটি রাজনৈতিক হয়রানি। এটি তাদের মনগড়া কথা। বিচার বিভাগ এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে।’
ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দলের মধ্যে বিভেদ তৈরি করবেন না, সুবিধাবাদীদের সুবিধা দেবেন না। দুঃসময়ের কর্মীদের মূল্যায়ন করবেন। প্রতিটি নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মঈনুদ্দিন মণ্ডলের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বেগম আক্তার জাহান ও সাহাবুদ্দীন ফরাজি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওদুদ, সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, ফেরদৌসি ইসলাম জেসী প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিক্রমে পুনরায় মইনুদ্দিন মণ্ডলকে সভাপতি ও আবদুল ওদুদকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।