আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা নিয়ে মতবিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ আগস্ট) বিকালে পৃথক কর্মসূচি পালনকালে জেলা বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ বাধে।
জানা যায়, গত ১০ আগস্ট বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
এরপরই জেলা বিএনপির একটি বিরাট অংশের নেতা-কর্মী ঘোষিত কমিটিকে ফরমায়েশি কমিটি আখ্যা দেন। তারা এই কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকালে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
শনিবার বিকালে নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম পৌর এলাকার শেখ হাসিনা সড়ক সেতু এলাকায় একটি শোভাযাত্রা বের করে।
অন্যদিকে, একই সময়ে জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি এবং নব গঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকনের নেতৃত্বে পাওয়ার হাউজ রোডে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেক কাটার আয়োজন করে।
শোভাযাত্রা বের হয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে, তাদের প্রতিহত করুন: কাদের
প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করে পুলিশ।
জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ করে আমি ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। পরে সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি।’
জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, ‘এমন ব্যক্তিকে আহ্বায়ক করায় জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিব্রত। এই কমিটি বাতিল করে নতুন করে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হোক। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু নেতা-কর্মী সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে জানতে পেরেছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন জানান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। বিকালে একপক্ষ আনন্দ র্যালি বের করে এবং অন্যপক্ষ কোকোর জন্মদিন উপদযাপনের কথা বললেও মূলত আনন্দ মিছিলকে প্রতিহত করার জন্য মাঠে নামে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
তিনি বলেন, পুলিশ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং একজনকে আটক করে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা উচিত: ওবায়দুল কাদের