দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এত বড় নজীরবিহীন ভুয়া ভোটের নির্বাচনের পরও আত্মমর্যাদাহীন আওয়ামী লীগ নেতারা নির্বাচন নিয়ে নির্লজ্জ গলাবাজি করছেন। আগের রাতে যেখানে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ ভোট দিয়ে দেয়া হয়েছে তাকে কি ভোট বলে?’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম ও দেশের অন্য রাজনৈতিক দলগুলো ইতিমধ্যে ভোট ডাকাতির তথ্য প্রমাণ তুলে ধরছে। প্রচণ্ড হুমকির পরও দেশ-বিদেশের বেশ কিছু গণমাধ্যম ভোট ডাকাতির দৃশ্য দেখিয়েছে। কেউ এ নির্বাচন মেনে নেয়নি। সুতরাং ওবায়দুল কাদের সাহেবরা কোনো সদুত্তর দিতে পারবেন না বলেই সংলাপে রাজি নয়। মহা ভোট ডাকাতির কোনো জবাব তাদের কাছে নেই।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রধান ড. কামাল হোসেন নির্বাচন নিয়ে যে সংলাপ আহ্বান করেছেন তাকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হাস্যকর হিসেবে বর্ণনা করায় রিজভী এসব কথা বলেন।
বিএনপির এ নেতা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে জনগণের ভোট ‘ডাকাতি’ করেছে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটগুলো এখন পুলিশ সদরদপ্তর থেকে থানাগুলোতে মহাভোজ উৎসবের মাধ্যমে ‘আওয়ামী লীগের তথাকথিত বিজয়’ উদযাপন করছে।
‘সাধারণত যে দল ভোটে বিজয়ী হয় তাদের কর্মীরা উৎসব, ভোজ ইত্যাদিতে মেতে থাকেন। কিন্তু এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটি রাজনৈতিক দলের তথাকথিত বিজয়ে উৎসব উদযাপন করছে। এটা শুধু নজীরবিহীন ও হাস্যকরই নয়, হতবাক করা বিস্ময়ও বটে,’ যোগ করেন তিনি।
রিজভী দাবি করেন, নির্বাচনের পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও নির্যাতন করা হচ্ছে। ‘সারাদেশে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীর বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশে বিরোধীদল, মত ও বিশ্বাসের মানুষ সরকারি সন্ত্রাসবাদে আক্রান্ত। মনে হচ্ছে সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’