চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের একাংশের কর্মীসভায় হামলা করেছে অপর অংশের নেতাকর্মীরা। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে মিরসরাই সদর ইউনিয়নের সুফিয়া রোডের নুরজাহান কমিউনিটি সেন্টারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গিয়াস উদ্দিনের কর্মী সমাবেশে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিনের দাবি, মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানা এবং ৯ নম্বর সদর মিরসরাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল আলম দিদারের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনে সমর্থক।
হামলায় আহত কয়েকজন হলেন- হৃদয়, পলাশ, সাইফুল, নুরুল বাকী, সবুজ, কামরুল, সেলিম, রহিমউল্লাহ, রনি ও হাসান। আহতদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গিয়াস উদ্দিন জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানা এবং ইউপি চেয়ারম্যান দিদারের নেতৃত্বে আমার শান্তিপূর্ণ সমাবেশে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় আমার বেশকয়েকজন নেতাকর্মী মারাত্মক আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মিরসরাই থেকে অপহৃত ব্যক্তি ভারতীয় সীমান্ত থেকে উদ্ধার, আটক ১
মিরসরাই ৯ নং সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম দিদার বলেন, এখানে রাজনীতি করতে হলে সাংগঠনিক উপজেলা ও ইউনিয়নের কমিটি রয়েছে। আগামী ৬ অক্টোবর মিরসরাইতে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে। গিয়াস উদ্দিনকে অনুরোধ করতে যাই, যেন আগামী ৬ তারিখ পর্যন্ত অন্যকোনো সভা- সমাবেশ না করে। তখন তার কিছু অনুসারী উত্তেজিত হয়ে তেঁড়ে এসে আমাদের উপর হামলা করে। আমরা কারো উপর হামলা করি নাই।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, আমরা খবর পাই একটি রাজনৈতিক সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তবে কোনো পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ এখনো আসেনি থানায়।
তিনি আরও বলেন, নুরজাহান কমিউনিটি সেন্টারে রাজনৈতিক সমাবেশের ব্যাপারে প্রশাসনের কোনো অনুমতি ছিল না।