‘লেখক মুশতাক আহমেদকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে গ্রেপ্তার করে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রেখে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রথমেই বলেছিলাম যে, এটি রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড,’ বলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিষয়ে সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা হওয়ার পর এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মহামারিতেও ‘ডাকাতি শাসন ব্যবস্থা’ কায়েম করেছে আ’লীগ: ফখরুল
আ’লীগের বিরাজনীতিকরণ ফরমুলা এখনও চলমান: ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছি।’
ফখরুল বলেন, ‘এই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে প্রায় ৭০০ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হয়েছে আমাদের সাংবাদিকরা।’
‘এই সরকার সম্পূর্ণ একটা অবৈধ সরকার, অনির্বাচিত সরকার। তাদেরকে জোর করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে হচ্ছে এবং টিকে থাকার জন্য এই ধরনের সম্পূর্ণ গণবিরোধী আইন যারা তৈরি করেছে সেই আইনের মাধ্যমে, এই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে তারা জনগণের যে কথা বলার অধিকার, বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে।’
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে সকল গ্রেপ্তারকৃত এবং রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় আটক করে রেখেছেন তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ যাদেরকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছেন সেই সাজা প্রত্যাহার করতে হবে, মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা গায়েবী মামলা আছে তা প্রত্যাহার করতে হবে।’
আরও পড়ুন: সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিকল্পনা করে ‘চুরি’ করছে: ফখরুল
বাংলাদশ ‘হাইব্রিড রেজিমের’ দেশে পরিণত হয়েছে: ফখরুল
‘অবিলম্বে পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে,’ বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারকে সরাতে হবে। তারা নির্বাচিত সরকার নয়, তাদের কোনো বৈধতা নেই। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে তাদের পতন হবে।’
‘আমাদেরকে দাঁড়াতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে। আসুন এই লক্ষ্যে আমরা সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হই।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী যুব দলের উদ্যোগে কারাগারে বন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু ও নোয়াখালীর বশিরহাটে ক্ষমতাসীন দলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে স্থানীয় সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মোজাক্কির হত্যার বিচারের দাবিতে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।