সরকারবিরোধী আন্দোলন কোনো চক্রান্ত হতে পারে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বুধবার বলেছেন যে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য একটি নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে এবং তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের চেনেন। আমি তাকে অনুরোধ করতে চাই... আপনি স্পষ্টভাবে তাদের নাম প্রকাশ করুন দয়া করে। জাতি জানতে চায় তারা কারা।’
বৃহস্পতিবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
সরকার পতনের যে কোনো আন্দোলন কোনো ষড়যন্ত্র নয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা সুস্পষ্টভাবে এবং প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে চাই যে আমরা গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী শাসনকে সরিয়ে একটি গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এখানে কোনো চক্রান্তের প্রশ্নই আসে না। আওয়ামী লীগই ২০০৮ সালে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে ২০০৮ সালে বিএনপিকে হারানোর ষড়যন্ত্র করেছিল এবং আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছিল।
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচন একইভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল... এমনকি, জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেছিলেন যে রাতে ভোট হয়েছে এবং তারা নিজেরাই করেছে।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বিএনপিপন্থী অংশ জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশ আরেকটি জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে বলে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
‘২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তারা আবারও আমাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র করছে। আমি তাদের [ষড়যন্ত্রকারীদের] সবাইকে চিনি,’ তিনি বলেছিলেন।
ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ অনেক গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে, অনেক সাংবাদিককে দমন ও হত্যা করেছে, অনেককে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়েছে এবং মিডিয়াকে আটকানোর জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে। ‘আওয়ামী লীগের জন্য এটা স্বাভাবিক কারণ এটা তাদের মৌলিক চরিত্র। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। মানুষকে ধোঁকা দেয়াও দলের চরিত্র। এই দল যা বলে তার ঠিক উল্টোটা করে।’
৬৪ জেলার মধ্যে ৪০টিতে পুলিশ সুপার (এসপি) বদল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসনে নতুন করে রদবদলের মাধ্যমে যারা প্রকৃত আওয়ামী লীগের সদস্য তাদের এসপি করা হয়েছে।