দলের স্থায়ী কমিটি গত শনিবার ভার্চুয়াল সভায় বিগত জাতীয় নির্বাচনের বিরোধিতা করে এ কর্মসূচির পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
সোমবার রাজধানীর গুলশানে দলীয় চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: ভাস্কর্য অবমাননার মূল পরিকল্পনাকরী বিএনপি: কাদের
তিনি বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর সেই কলঙ্কময় দিবসের দ্বিতীয় বছর পূরণ হবে। বাংলাদেশের মানুষ এ দিনটিকে ক্ষোভ ও ঘৃণার সঙ্গেই স্মরণ করে।’
বিএনপি নেতা জানান, ২০১৮ সালের নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে ৩০ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় সারা দেশে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিক্ষোভ হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন নিয়ে ৪২ জনের বিবৃতির খসড়া বিএনপির তৈরি: তথ্যমন্ত্রী
ওইদিন ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দলটির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর শাখা যৌথভাবে বেলা ১১টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা মনে করেন যে চলমান করোনাভাইরাস মহামারি মধ্যে ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও বিতরণের বিষয়টি জনগণের কাছে স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: ইসিকে যোগ্য রেফারির ভূমিকা পালনের আহ্বান বিএনপির
ফখরুল বলেন, টিকা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পরিবহন এবং বিতরণ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে করা জরুরি। বিষয়টি কারিগরি হওয়ায় টিকা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ, দেশের প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় টিকা পাঠানো এবং আক্রান্তদের শরীরে প্রয়োগ সবকিছু ঠিকভাবে নীতিমালা অনুসরণ করে করা এবং টিকাদান কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে কাল বিলম্ব না করে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন ও তা জনগণের কাছে স্পষ্টভাবে অবহিতকরণ, সকল ক্ষেত্রে জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ এবং জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে পুরো পরিকল্পনা জনগণকে জানানো প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ওবায়দুল কাদের সত্য বলতে ভুলে গেছেন: বিএনপি
ফখরুল বলেন, বিভিন্ন ধাপে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের অযোগ্যতা, ব্যর্থতা ও দুর্নীতির কারণে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের প্রতি নিন্দা জানানো হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসেনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে যেসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তা বিস্তারিতভাবে জনগণের সামনে তুলে না ধরায় হতাশ বিএনপি।
আরও পড়ুন: বিএনপির কারণ দর্শানোর নোটিশে অপমানিত হাফিজ উদ্দিন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অংশ নেন।