পুরো একটি বছর পার করে আবারো বসতে যাচ্ছে আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপের আসর। তাও আবার মন্ত্রমুগ্ধ কর দ্বীপ দেশ অস্ট্রেলিয়ার। অস্ট্রেলিয়ার ৭টি সুন্দর শহরে (সিডনি, মেলবোর্ন, অ্যাডিলেড, জীলং, হোবার্ট, পার্থ এবং ব্রিসবেন) আয়োজিত হবে বিশ্বনন্দিত ক্রিকেট উৎসবের ৮ম আসর। শুধু স্টেডিয়াম-ই নয়, ভ্রমণপিপাসু ক্রিকেটপ্রেমিদের জন্য অনেক চমক নিয়ে অপেক্ষা করছে ওশেনিয়া মহাদেশের এই বৃহত্তম দেশটি। সূর্যস্নাত সৈকত এবং মনোরম বন থেকে শুরু করে বিদেশি বন্যপ্রাণী ক্রিকেট ভক্তদের সফরটিকে নিমেষেই পরিপূর্ণ করে তুলতে পারে। শহরগুলোর নান্দনিকতা এবং প্রাণবন্ত সংস্কৃতি প্রতিটি ভ্রমণকারির উপলব্ধ অভিজ্ঞতা চিরস্মরণীয় করে রাখতে পারে। সেই সূত্রে, অস্ট্রেলিয়ামুখী পরিব্রাজকদের উদ্দেশ্যেই ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজক অস্ট্রেলিয়ার ৭টি শহরের বিস্তারিত নিয়ে এবারের নিবন্ধ।

২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজক ৭টি শহর

অ্যাডিলেড

সংস্কৃতি, খাবার, উৎসব এবং বিনোদনে ভরপুর অ্যাডিলেড মানেই ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন উৎসবের আমেজ আর নতুন নতুন সব মজার অভিজ্ঞতা।

অভ্যন্তরীণ-শহরের মুল দর্শনীয় স্থানগুলো সব পায়ে হাটা দূরত্বে। ঝকঝকে শহরতলি থেকে ২০ মিনিট এগোলেই দৃশ্যমান হতে শুরু করবে সৈকত ও পাহাড়ের প্রাকৃতিক বিস্ময়গুলো। স্টেডিয়াম ওভালের দক্ষিণে হাল্কা ম্যারাথন করলেই পৌছে যাওয়া যাবে অপূর্ব রিভারব্যাঙ্ক ব্রিজ এবং নতুন পুনর্নির্মিত ফেস্টিভাল সেন্টারে। অ্যাডিলেড বোটানিক গার্ডেন এবং ন্যাশনাল ওয়াইন সেন্টার পেরনোর সময় চোখে পড়বে উত্তর টেরেসের সাংস্কৃতিক বুলেভার্ড বরাবর দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার আর্ট গ্যালারি, স্টেট লাইব্রেরি এবং দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ান যাদুঘর।

অ্যাডিলেড সেন্ট্রাল মার্কেট দক্ষিণ গোলার্ধের মধ্যে বৃহত্তম। শহরের রাস্তাগুলো ভোজনশালায় ভরা। ইতালীয়-অনুপ্রাণিত অস্টেরিয়া ওগি এবং ফুগাজি থেকে শুরু করে আফ্রিকোলায় খাবারের পসড়া, শোবোশোর গুঞ্জন এবং ফিশব্যাঙ্কে পরিশ্রুত সামুদ্রিক খাবার। রান্ডেল, হাট, এবং গাউজার রাস্তাগুলো রাতের খাবারের জন্য নির্ধারিত।

অ্যাডিলেড ভিত্তিক দর্শনার্থীদের জন্য ডে-ট্রিপ এবং সাপ্তাহিক ছুটির সুযোগ প্রচুর। ক্যাঙ্গারু দ্বীপের প্রাকৃতিক নৈসর্গে প্রাচীন পৃথিবীর খোঁজে হারিয়ে যেতে সাদরে আমন্ত্রণ জানায় ফ্লিন্ডার রেঞ্জ এবং আউটব্যাক। আর এখানকার নিখুঁত সৈকত এবং ফ্লিন্ডার চেজ ন্যাশনাল পার্কের মধ্যে কোনটা আগে দেখবেন, তা নিয়ে পর্যটকরা প্রায়ই দ্বিধায় পড়ে যান।

পড়ুন: আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশ দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণ

ব্রিসবেন

ভূরিভোজন করানোর দিক থেকে এই শহরের রেস্তোরাঁগুলোও পিছিয়ে নেই। তবে তার আগে অবশ্যই আউটডোর কার্যক্রমগুলো শেষ করে নিতে হবে। কারণ সেগুলো নিরতিশয় রোমাঞ্চকর। অ্যাবসেইলিং, স্টোরি ব্রিজে আরোহণ, হেলিকপ্টারে দ্বীপ ভ্রমণ বা নৌকায় করে পিকনিক করতে যেয়ে বেশ হাপিয়ে উঠতে হবে। ব্রিসবেনের ৫-তারকা বিলাসবহুল হোটেল বা আকাশক্ষত তারার নিচে ক্যাম্পিং নিমেষেই ভুলিয়ে দিতে পারে সেই ক্লান্তি। 

এখানকার পর্যটকরা ব্রিসবেনের প্রধান ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লাইভ মিউজিক এবং শিল্প প্রদর্শনী কখনোই মিস করেন না। ঘূর্ণাক্ষরেও যদি কোন ভাবে সিনিক রিমের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ রেইনফরেস্টগুলোর ট্রেইলার একবার চোখে পড়ে যায়, তাহলে আরও কয়েকটা দিন থেকে যেতে ইচ্ছে করবে। বন্যপ্রাণীতে ভরা আদিম দ্বীপগুলো আবিষ্কার করতে হলে চলে যেতে হবে শহর থেকে মাত্র এক ঘন্টা দূরে অত্যাশ্চর্য মোরেটন বে-তে।

পড়ুন: ভারতের টুরিস্ট ভিসা কীভাবে পাবেন: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রসেসিং ফি

জীলং

মেলবোর্ন থেকে এক ঘণ্টারও কম দূরত্বে অবস্থিত ভিক্টোরিয়ার এই দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। নদীবিধৌত অঞ্চলটি তার শিল্প স্থানগুলোর সৃজনশীলতা, ঝকঝকে শহর এবং রমরমা ভোজনশালার জন্য সুপরিচিত। এর বেলারাইন অঞ্চলে মনোমুগ্ধকর উপকূলীয় গ্রাম, আল ফ্রেস্কো ডাইনিং নিয়েও এর বেশ ভালো নামডাক আছে। এর বেসাইড বোলার্ড ট্রেইল বরাবর ১০০টিরও বেশি ভাস্কর্য বোলার্ডগুলো দেখতে দেখতে মনোরম নদীর তীর ধরে হেটে বেড়ানো যায়। এই ভাস্কর্যগুলো শহরের অতীত এবং বর্তমানের চরিত্রগুলোকে বুকে ধারণ করে আছে। 

এছাড়াও ৬টি সাইট থেকে অগমেন্টেড রিয়েলিটি ব্যবহার করে বোলার্ডগুলোকে উপভোগ করা যায়। এছাড়াও শহর জুড়ে ছড়িয়ে আছে অনেক ম্যুরাল। সেগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান রক ব্যান্ড দ্য ডিভিনলসের ফ্রন্ট ওমেন ক্রিসি অ্যাম্ফলেটকে উৎসর্গীকৃত অংশটি আলাদাভাবে সবার নজর কাড়ে। আরো চোখে পড়বে জীলং-এর সন্তান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পথ শিল্পী রোনের ফিয়ান্সফোর্ড সাইলো আর্ট।

জীলং-এর গলিপথ থেকে উপকূল বরাবর তাজা সামুদ্রিক খাবার পর্যন্ত বেলারিনে খাবারগুলোতে একঘেয়েমি আসার কোন উপায় নেই। ১৯৩০-এর দশকে নির্মিত জীলং-এর ইস্টার্ন বিচ রিজার্ভ উষ্ণ ঋতুতে বেশ জমজমাট থাকে। প্রখর সার্ফাররা প্রায়শই বারওয়ান হেডসের ত্রয়োদশ সমুদ্র সৈকতে বা আরও দূরে যাত্রা করে টরকুয়ের দিকে, যেটি মুলত শ্বাসরুদ্ধকর গ্রেট ওশান রোড বরাবর প্রথম পয়েন্ট।

পড়ুন: ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ: ভেন্যু ও প্রাইজ মানি

হোবার্ট

দক্ষিণ তাসমানিয়ার প্রশস্ত নদী ডারউয়েন্ট বরাবর পাহাড় ছোঁয়া এই হোবার্ট অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় প্রাচীন শহর। ঐতিহাসিক স্থাপত্যের সাথে সারিবদ্ধ রাস্তাগুলো জলপ্রান্তর থেকে উঠে এসে কুনানি/মাউন্ট ওয়েলিংটনের চূড়ার দিকে আরোহণ করে। মুউইনিনা একটি উচ্চ শিখর যেখান থেকে জনগণের ঐতিহ্যবাহী জমিগুলোর উপর নজরদারি করা যায়। বন্দরটি যখন নৌকায় ভরে ওঠে বা পাহাড়টি যখন শীতের তুষারে আবৃত হয়ে যায়, তখন এর থেকে সুন্দর জায়গা কল্পনা করা কঠিন।

হোবার্ট এক সৃজনশীল শহর, যা ধারণ করে আছে ডার্ক মোফো এবং ভয়েসের উৎসবের মতো উদ্যমী উৎসব এবং পুরাতন ও নতুন শিল্পের যাদুঘর মোনার ইতিহাসকে। 

এছাড়াও হোবার্ট সূক্ষ্ম খাবার এবং পানীয়ের জন্য জগদ্বিখ্যাত। এর এক বিরাট অংশ দখল করে আছে এখানকার দক্ষ রাধুনীদের দ্বারা তৈরিকৃত ফ্রেশ সামুদ্রিক খাবার।

শহর থেকে অদূরেই ভ্রমণপ্রিয়দের জন্য অপেক্ষা করছে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় কিছু গল্ফ কোর্স, অসাধারণ হাইকিং, মাউন্টেন-বাইকিং ও ফুডি ট্রেইল, ফ্লাই-ফিশিং হ্রদ এবং বালুকাবেলা।

পড়ুন: ঢাকার সেরা ১০টি জাদুঘর: ইতিহাস রোমন্থনের সঙ্গে জ্ঞান আহরণের অভাবনীয় সুযোগ

মেলবোর্ন

ক্রীড়া বিশ্বের সহস্র উদ্ভাবনার পাশাপাশি এর রেস্তোরাঁ, বার এবং ক্যাফেগুলোর গুণমান এবং নতুনত্ব সহসাই মুখরোচক এবং সমাদৃত। সুনিপুণ স্থাপনার কারুকাজে সাজানো উচু ভবনে বসে নতুন যুগের ব্রেকফাস্ট, বা র‍্যাঙ্কিন্স লেনে লুকানো ম্যানচেস্টার প্রেসের চমৎকার কফির চুমুকে নিজেকে প্রফুল্ল করার ঝোক কেউই সামলাতে পারে না। 

ইয়ারা নদীর উপরে বিশাল ভাসমান বার- আর্বোরি অ্যাফ্লোট, পনিফিশ আইল্যান্ড বা রিভারল্যান্ড, কিংবা কার্টিন হাউসের আইকনিক রুফটপ বার; এগুলোর যে কোনটিতেই কোন এক সন্ধ্যা বিস্ময়কর হতে পারে। এমসিজি (মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড) থেকে পায়ে হাটা পথের রিচমন্ড জায়গাটি না দেখলে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

চার্চ স্ট্রিটে বেবি পিৎজা এবং কং যেমন সবসময় সুপারহিট, ভিক্টোরিয়া স্ট্রিটে ঐতিহ্যবাহী এবং ব্যতিক্রমী ভিয়েতনামী খাবারগুলো তেমনি তুলনাহীন। মেলবোর্নের আর্টস প্রিসিন্টে আছে আর্টস সেন্টার, থিয়েটার, মল্টহাউস, রিসিটাল সেন্টার এবং ন্যাশনাল গ্যালারি অফ ভিক্টোরিয়া। শিল্প ও স্থাপত্যের এক অপূর্ব মিলনের দেখা মিলবে ফেডারেশন স্কোয়ারে। আর ইস্ট এন্ড থিয়েটার ডিস্ট্রিক্টে ভীড়ের মাঝে যে কোন শিল্পানুরাগী হারিয়ে যেতে দ্বিধাবোধ করবেন না।

পড়ুন: ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ গাইড: দর্শনীয় স্থান সমূহ, খরচ

পার্থ

সোয়ান নদীর তীরবর্তী অস্ট্রেলিয়ার এই রৌদ্রোজ্জ্বল রাজধানী শহরটি অনায়াসে কাঁচা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে শহুরে শীতল আবহকে মিশিয়ে ফেলে। সাম্প্রতিক সময়ে একটি বড় পরিবর্তনের হাওয়া ছুঁয়েছে এর হোটেল, বার, ও রেস্তোরাঁগুলোতে। পার্থের অত্যাধুনিক বহু পুরষ্কার বিজয়ী ৬০ হাজার সিটের ওপ্টাস স্টেডিয়াম ২০১৮ সালে খেলাধুলা এবং কন্সার্টের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিলো। এটি বিশেষত দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়াতে এএফএল(অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল লিগের)-এর প্রাণকেন্দ্র। 

পার্থের সিবিডি(সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট) থেকে এক ঘন্টার দূরত্বে অপরূপ রটনেস্ট দ্বীপে বন্ধুত্বপূর্ণ কোক্কাদের দেখা পাওয়া যাবে। রকিংহামে ডলফিনের সাথে সাঁতার, ফ্রেম্যান্টলে সারগ্রাহী বন্দর নগরীতে বোহেমিয়ান জীবনধারা আবিষ্কার, অথবা মেট্রোপলিটান উপকূলরেখার মতো আদিম সৈকত উপভোগ হতে পারে অনবদ্য প্রাপ্তি। এছাড়া আছে রহস্যময় লুকানো রাস্তা, কিংস পার্ক এবং বোটানিক গার্ডেন। ভারত মহাসাগর সৈকতে সূর্যাস্ত ধরা, রটনেস্ট দ্বীপের শান্ত এবং নির্জনতায় খুঁজে পাওয়া যেতে পারে আদিম ও অকৃত্রিম আনন্দ।

পড়ুন: বাংলাদেশে ৩০০০ ফুটের অধিক উচ্চতার ১৪ পাহাড়

সিডনি

আইকনিক অপেরা হাউস এবং হারবার ব্রিজ থেকে শুরু করে ব্লকবাস্টার ইভেন্টগুলোর অবিরত উৎসবমুখরতায় সারা বছরই আলোকিত থাকে সিডনি। শুধুমাত্র গগণচুম্বী সেতু দিয়ে গোট শহর দেখতে হলে আসতে হবে সিডনিতে। সাগরের মাঝে জেগে থাকা দ্বীপে ক্যাম্পিং, কায়াকিং, সার্ফিং আর জেট বোটে করে ঢেউয়ে ভেসে চলা এ শহরের নিত্যদিনের দৃশ্য।

এছাড়া ন্যাশনাল পার্কে পিকনিক, থিয়েটার, গ্যালারী এবং জাদুঘরগুলোর জনজ্জীবনে মিশে অকুন্ঠচিত্তে স্বাদ নেয়া যায় শহুরে সংস্কৃতির। শুধু ক্রিকেটের স্বর্গভূমি নয়; ক্রীড়া অনুরাগীরা সিডনি ইন্টারন্যাশনাল টেনিস টুর্নামেন্ট, সিডনি রাগবি-৭ এবং নিউ সাউথ ওয়েল্স প্রো সার্ফ সিরিজ দেখার জন্যও ভিড় করে এখানে।

ফ্যাশন সচেতন ও খাদ্যপ্রেমিরাও নিজেদের পরম আস্থার জায়গা খুঁজে পান এই বিশ্বমানের শহরে।

ঐতিহাসিক নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রবেশদ্বার, রাজকীয় ব্লু মাউন্টেনে, তুষারময় পর্বতমালায় মাউন্ট কোসিয়াসকো, এবং ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ-তালিকাভুক্ত প্রান্তর এলাকাগুলোর জন্য অনায়াসেই যে কোন নবাগত পরিব্রাজক অনুধাবন করতে পারেন, যে কেন অস্ট্রেলিয়া এত বেশি জনপ্রিয়।

পড়ুন: ঘুরে আসুন মালদ্বীপ: অপরূপ এক দ্বীপদেশ ভ্রমণ গাইড

শেষাংশ

২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজক ৭টি শহর শুধুমাত্র ৭টি স্পোর্ট্স ভেন্যু নয়। শিল্প এবং স্থাপত্য থেকে শুরু করে রহস্যময় বন্যপ্রাণী ও সুস্বাদু খাবারের এক অভিজাত সমাহার। তাই অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আকর্ষণগুলো অন্বেষণ করতে জীবনে একবার হলেও এই ভ্রমণে আসা উচিত। সরাসরি ক্রিকেট অ্যাকশনের সাক্ষী হওয়ার জন্য উল্লসিত প্রত্যেকেরই এখন সময় এসেছে একসাথে পুরো অস্ট্রেলিয়াকে সারা জীবনের জন্য অভিজ্ঞতায় ধারণ করার।