সবশেষ রবিবার মামলার এজাহারনামার আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক ও মাহফুজুর রহমান আদালতে এ মর্মে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দেন।
আদালত সূত্র জানায়, রবিবার দুপুর ২টার দিকে তারেকুল ইসলাম তারেককে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে এবং মাহফুজুর রহমানকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় সাইফুর রহমানের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহপরাণ (র.) থানার পুলিশ পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্য।
তিন ঘণ্টাব্যাপী আসামিদ্বয়ের স্বীকারোক্তি শেষে ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্য জানান, দুই আসামির জবানবন্দি পৃথক আদালতে ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দিতে তারা ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে চাঞ্চল্যকর এ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে গত শুক্রবার ও শনিবার এ দুইদিনে ৬ আসামি যথাক্রমে সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম এবং রনি, রাজন ও আইনুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আদালত সূত্র জানায়, গত শুক্রবার বিকালে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্কর। আর রবিউল জবানবন্দি দেয় মুখ্য মহানগর হাকিম (দ্বিতীয়) সাইফুর রহমানের আদালতে।
পরদিন শনিবার দুপুর ১টায় শাহপরাণ থানা পুলিশ কড়া নিরাপত্তায় মামলার তিন নম্বর আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনি এবং সন্দেহভাজন আসামি মিসবাউর রহমান রাজন ও আইনুদ্দিনকে অতিরিক্ত মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমানের আদালতে হাজির করে। এ তিনজনের মধ্যে রাজন শনিবার বিকাল পর্যন্ত সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিকালে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেন রাজন।
অপরদিকে, শনিবার সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক শারমিন খানম নীলার কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন অপর দুই আসামি রনি ও আইনুল। তারাও ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীর সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার ভোরে ছয়জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২/৩ জনকে অভিযুক্ত করে শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতার স্বামী।
মামলার এজাহারভূক্ত আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম (২৫)।
এছাড়া ঘটনার পর অভিযানে চালিয়ে সাইফুরের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সাইফুর রহমানকে আসামি করে আলাদা আরেকটি মামলা দায়ের করেন শাহপরাণ (র.) থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিল্টন সরকার।