রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে আন্তজেলা ট্রেনের বগিতে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার ভোরে এ ঘটনায় পাঁচ যুবককে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ বলেছেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুজন ঢাকার আদালতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
তবে ঘটনার পর থেকে ইমরান নামে আরেক অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরের শিশুধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তাররা হলো-নাজমুল (২৫), আনোয়ার (২০), নাইম (২৫), সুমন (২১) ও রুমান ওরফে কালু (২২)।
১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী নেত্রকোণার একটি গ্রাম থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি আন্তজেলা ট্রেনে করে কমলাপুর থানায় পৌঁছায়।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ জানান, বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার পর গ্রামের বাড়ি ছেড়ে সে ঢাকায় আসে।
তার কোন নির্দিষ্ট গন্তব্য না থাকায় প্ল্যাটফর্ম নং-২ এ অপেক্ষা করছিল। পলাতক ইমরান তার সঙ্গে কথোপকথন শুরু করে এবং তাকে প্ল্যাটফর্ম নং-১ এর একটি ট্রেনের বগির ভিতরে থাকতে বলে যে এটি তার জন্য নিরাপদ হবে।
পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ইমরানসহ চার থেকে পাঁচজন মিলে বগিতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। রেলওয়ের একজন নিরাপত্তারক্ষী বগির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তারা ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
সকালে নিরাপত্তারক্ষী মেয়েটিকে উদ্ধার করে কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে ভুক্তভোগীর দেয়া বিবরণে থানা এলাকা থেকে ওই পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কমলাপুর রেলওয়ে থানায় মামলা করেছে।
শনিবার বিকালে গ্রেপ্তার পাঁচ যুবককে ঢাকার আদালতে হাজির করে পুলিশ। এদের মধ্যে নাইম ও সুমন নামে দুজন সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান ওসি।
অভিযুক্তদের সবাইকে জেলে পাঠানো হয়েছে, পুলিশ এখনও পলাতক ইমরানকে খুঁজছে।
আরও পড়ুন: ভিডিও ধারণ করে গৃহকর্মীকে একাধিকবার ধর্ষণ, থানায় মামলা