আক্তার হোসেন হত্যা মামলায় প্রধান আসামি আলমগীর কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক মো. আতাবুল্লাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ১৪ দিনের রিমান্ডে
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মোমেন ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো.জহিরুল ইসলাম সেলিম ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবদুল আলিম এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি ডা. খুরশীদের মেয়াদ বাড়ল ২ বছর
কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। আক্তার হোসেনকে হত্যায় ঘটনার পর আলমগীরকে কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের ওই পদ থেকে বহিষ্কার করে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত বছরের ১০ জুলাই দুপুর ২টার দিকে মসজিদ থেকে বের করে শত শত মানুষের সামনে কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন ও ভাইয়েরা আক্তার হোসেনকে আঘাত করলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় আরও ছয়জন আহত হন। ঘটনার একদিন পর ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনের স্ত্রী রেখা বেগম বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় এই মামলা করেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগার থেকে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি ‘উধাও’
মামলায় আলমগীর হোসেনকে প্রধান করে ১০ জনকে আসামি করা হয়।
আক্তার হোসেন হত্যা মামলার পর আলমগীর দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। এর মধ্যে তিনি ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাইকোর্টের জামিনে ছিলেন। বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এই মামলায় বাকি আট আসামি হাইকোর্টের স্থায়ী জামিনে রয়েছেন। তবে মামলার ৯নং আসামি কাউন্সিলর আলমগীরের ভাতিজা জোবায়ের পালাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন:স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ১৪ দিনের রিমান্ডে