একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় ঘোষণা করেন।
তবে রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল কাদের। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত কাদের জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের শিকার আয়েশা একই উপজেলার রাজামেহার গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী ও সতীনের মৃত্যুদণ্ড
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন। এ মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন টিপু।
জানা গেছে, আবদুল কাদেরের সাথে ২০০৫ সালের দিকে বিয়ে হয় আয়েশা আক্তারের। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। পারিবারিক কলহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ২০১০ সালে তাদের ডিভোর্স হয়। এরপর থেকে আয়েশা নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে কাজ শুরু করেন। ২০১৩ সালের এক ঈদে বাবার বাড়িতে আসেন তিনি। পরে তার মা মাজেদা বেগমসহ নানার বাড়ি একই উপজেলার গুনাইঘর গ্রামে বেড়াতে যান তারা। সেখান থেকে ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট তারা নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে শিশু হত্যা: মা ও তার প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে মা-মেয়ে জেলার মুরাদনগর উপজেলার ওরিশ্বর বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা আবদুল কাদের ছুরি নিয়ে হঠাৎ হামলা করে আয়েশার ওপর। এক পর্যায়ে তার বুকে ও পেটে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন তিনি। এ সময় মা মাজেদা বেগম চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে কাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আ’লীগ নেতা হত্যা মামলায় ২১ বছর পর রায়: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড
তবে হাসপাতালে নেয়ার পথেই মৃত্যু হয় আয়েশার। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই নিহতের বাবা আবুল হোসেন মুরাদনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর তদন্ত শেষে একমাত্র আসামি কাদেরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
এরপর দীর্ঘ সময়ের মধ্যে মামলার ১৩ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। সর্বশেষ দীর্ঘ প্রায় সাড়ে সাত বছর পর বুধবার দুপুরে ওই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যার মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড