নিহতরা হলেন মুন্নি ও তার স্বামী মিলন এবং ফরহাদ ও আওয়াল। তাদের সবার বাড়ি গাইবান্ধায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বস্তিতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা কবিরুল আলম জানান, সোমবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ও জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে আগুনে পুড়ে দোকান কর্মচারীর মৃত্যু
আগুনে কলোনির ৪৬টি ঘর পুড়ে গেছে।
গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে কলোনির বাসিন্দারা দাবি করেছেন। তারা জানান, গ্যাস সিলিন্ডার বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লেগে মুহূর্তে গোটা কলোনিতে ছড়িয়ে যায়। বাসিন্দারা দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে আসায় অনেকেই কোনো কিছু রক্ষা করতে পারেননি। যে চারজন মারা গেছেন তারা নিজেদের মালামাল বের করার চেষ্টা করছিলেন। আর তাতেই আটকা পড়ে মারা যান।
তবে, ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সালেহ উদ্দিন বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেও আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তদন্তের পর আগুন লাগার প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে মার্কেটে আগুন
এদিকে, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে কালিয়াকৈর পৌরসভা ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। ভুক্তভোগীদের খাদ্য সহায়তা ও শীতবস্ত্র দেয়া হচ্ছে। তবে যে চার মালিকের টিনশেডের কলোনি আগুনে পুড়ে গেছে তাদের কাউকেই দেখা যায়নি ঘটনাস্থলে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে দুর্বৃত্তদের আগুনে এতিমখানা পুড়ে ছাই
এর আগে, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। লাশগুলো শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিম্ন-আয়ের মানুষের বসবাসের জায়গা বস্তিতে আগুন লাগা এক নিয়মিত চিত্র এবং এতে হাজারও বস্তিবাসী প্রতিবছর গৃহহারা হন।