নিহত সালমা খাতুন (১৯) ওই গ্রামের রাজু মুন্সির স্ত্রী ও একই উপজেলার আমুড়িয়া গ্রামের ওমান প্রবাসী ইয়ানুর হোসেনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন মা
সালমার ফুফু জোসনা বেগম থানায় অভিযোগ করেন, মাত্র পাঁচ মাস আগে রূপাটি গ্রামের আলমগির হোসেনের ছেলে রাজু মুন্সির (২২) সাথে সালমার বিয়ে দেন তারা। বিয়ের পর থেকে সালমাকে বাবার বাড়িতে আসতে দিত না। এ অবস্থায় শনিবার সকাল ৮টায় সালমার শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোনে জানানো হয়-সালমা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। খবর শুনে তারা শ্বশুরবাড়ি জগদল রুপাটি গ্রামে গেলে সালমাকে ঘরের মেঝেতে গলায় ওড়না পেঁচানো মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় সেখানে স্বামী কিংবা শ্বশুরবাড়ির কাউকে পাওয়া না গেলেও উপস্থিত প্রতিবেশিরা জানান, সালমা স্বামীর সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে শুনেছেন।
সালমার দাদা পিকুল বলেন, ‘স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা লাশ ফেলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার কারণেই সালমার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। আমরা অবশ্যই পুলিশের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’
আরও পড়ুন: সাঙ্গু নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ সেনা সদস্যের লাশ উদ্ধার
সাভার ও আশুলিয়া থেকে নারীসহ ৫ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘খবর পেয়ে নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই এটি হত্যা না আত্মহত্যার ঘটনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।’