নিহতরা হলেন- উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের তিতা গ্রামের বেলায়েত মুন্সীর ছেলে সুমন মুন্সী (২০), রাফিক মোল্যার ছেলে বদিয়ার মোল্যা (৩০) বজলু ফকিরের ছেলে মিজান ফকির (৫০), আজিরন ফকিরের ছেলে মোঃ লায়েক ফকির (৫০) ও আবি মোল্যার ছেলে সিরাজুল ইসলাম মোল্যা (৩০)।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মৃত্যুর বিষয়টি কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমার, ঘোনাপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নিজামুল আলম, গোপালগঞ্জ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডা. অঞ্জন কুমার সাহা নিশ্চিত করেছেন।
ঘোনাপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নিজামুল আলম জানান, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে কাশিয়ানীর পোনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পাশ্ববর্তী সংযোগ রাস্তা থেকে একটি যাত্রীবাহী নছিমন মহাসড়কে উঠছিল। এসময় থেকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘ফাল্গুনী পরিবহনের’ একটি বাসের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই এক নছিমন যাত্রী নিহত হয়।
কাশিয়ানী হাসপাতালে নেয়ার পথে আরও দুই নছিমন যাত্রী মারা যান। আহত আরও সাত যাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশংকাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভাংগা হাইওয়ে থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে ফরিদপুরে একজন ও গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে একজন মারা যান।
নছিমনের যাত্রীরা কাশিয়ানী উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের তিতাগ্রাম থেকে নছিমনে করে ভবন নির্মাণ কাজ করতে কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া যাচ্ছিলেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা।