মাঝ নদীতে আটকা থাকা পাঁচ ফেরি ঘাটে পৌঁছেছে। সেই সাথে পাটুরিয়া ঘাট থেকে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে ছেড়ে গেছে ছয়টি ফেরি।
আরও পড়ুন: পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় দুই দফায় ৯ ঘণ্টা বন্ধের পর ফেরি চলাচল শুরু
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের ম্যানেজার মহিউদ্দিন রাসেল বলেন, মধ্যরাত থেকে পদ্মা নদীতে কুয়াশা পড়তে থাকে। ভোর রাত ৩টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে নৌদুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
ঘাটের উভয় পাশে এ সময় আটকা পড়ে নৈশকোচ, বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস মিলিয়ে তিন শতাধিক যানবাহন। দীর্ঘ সময় ফেরি পারাপার বন্ধ থাকায় কনকনে শীতের মধ্যে পরিবহন যাত্রী ও যানবাহন শ্রমিকরা পড়েন সীমাহীন দুর্ভোগে।
আরও পড়ুন: ৬ ঘণ্টা পর মেঘনায় চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি চলাচল ফের শুরু
আজ সকাল ৮টার দিকে কুয়াশার তীব্রতা কেটে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়, বলেন মহিউদ্দিন রাসেল।
তিনি আরও জানান, এই নৌপথে বর্তমানে ১৬টি ফেরি রয়েছে। এখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৈশকোচ ও যাত্রীবাহী বাসগুলো পারাপার করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হবে।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে স্বাভাবিক হলো ফেরি চলাচল
এর আগে, একই কারণে রবিবার রাত থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে দুই দফায় ৯ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। ওই সময় মাঝ নদীতে দুটি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে আটকে থাকে। ফলে কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন। কুয়াশা কাটতে থাকলে সোমবার সকাল ১০টার পর ফের ফেরি চলাচল শুরু হয়।
আরও পড়ুন: পাটুরিয়া ফেরিঘাটে মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয় সূত্র জানায়, রবিবার রাত ১০টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে পদ্মা নদী কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে নৌপথ দেখতে না পারায় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এ সময় মাঝ নদীতে খান জাহান আলী ও মাধবীলতা নামে দুটি ফেরি আটকে পড়ে। বাকি ১৪ ফেরি দুই ঘাটে আটকে রাখা হয়।
পরের দিন সকাল ৬টার দিকে কুয়াশার প্রকোপ কমে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হয়। দ্বিতীয় দফায় আবারও সকাল ৯টায় কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে গেল ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। সকাল ১০টায় কুয়াশার প্রকোপ কেটে গেলে পুনরায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।