দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চুরির অপরাধে নামে এক কিশোরকে নির্যাতনের অভিযোগে মঙ্গলবার এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী কিশোরের নাম সাগর হোসেন (১৩)।
অভিযুক্তের নাম মো. সাজ্জাদ হোসেন। তিনি উপজেলার সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
ঘোড়াঘাট থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আবিরের পাড়া আশ্রয়ণকেন্দ্রের বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম তার ছেলে সাগরকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। গত সোমবার ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন ও একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মফিজল মিয়া ওই কিশোর ও তার মাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। একপর্যায়ে লোহার রড দিয়ে কিশোর সাগরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করতে থাকে। মারপিটের সময় কিশোরের মা মনোয়ারা বেগম তার ছেলেকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তাকেও মারপিট করেন চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন ও ইউপি সদস্য মফিজাল।
পরে আশ্রয়ণকেন্দ্রের ঘরে তাদের তালাবদ্ধ করে রাখা হয় এবং বলা হয় অভিযুক্ত কিশোর বিভিন্ন জায়গায় চুরি করে থাকে। সে অপরাধী। তাই তাকে এই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে। চলে না গেলে তাকে এবং তার মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল ছাড়লেন ঘোড়াঘাটের সাবেক ইউএনও ওয়াহিদা
এদিকে কিশোর সাগরের মা মনোয়ারা বেগম আজ মঙ্গলবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন ও ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য মফিজাল মিয়াকে আসামি করে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির জানান, নির্যাতিত কিশোরের মা বাদী হয়ে থানায় এহাজার দাখিল করেছেন। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করে আজ দুপুরে দিনাজপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপর আসামি মফিজাল মিয়াকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুলকে প্রত্যাহার