চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও রাঙ্গুনিয়ায় পৃথক সন্ত্রাসী হামলায় দুই যুবক খুন হয়েছে।
নিহতরা হলেন- মুজাহিদ (৩২) ও মো. দুদু মিয়া (৩৮)।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের চার নাম্বার ওয়ার্ডের এজাহার মিয়া ফকিরের বাড়িতে পূর্ব শক্রুতার জেরে সন্ত্রাসীদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে মুজাহিদ ও তার ভাইসহ ছয়জন আহত হয়। তাদের মধ্যে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান মুজাহিদ। নিহত মুজাহিদ ওই এলাকার মোহাম্মদ হারুনের ছেলে।
সরফভাটা ইউনিয়নের মেম্বার আব্দুল মোনাফ বলেন, পূর্ব শক্রতার জেরে এজাহার মিয়া ফকির বাড়ির দিদারের সঙ্গে এক ব্যক্তির দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে ওই বাড়িতে হামলা চালায় কয়েকজন সন্ত্রাসী । এসময় দিদারকে গুলি করতে গেলে তার ছোট ভাই মুজাহিদের গায়ে গুলি লাগে। পরে স্থানীয় লোকজন হামলাকারীদের ধরার চেষ্টা করলে আরও পাঁচ জনকে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: আরবি পড়তে যাওয়ার পথে খুন হলো ৯ বছরের শিশু
চমেক হাসপাতালের দায়িত্বরত জেলা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, রাঙ্গুনিয়া থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মুজাহিদ নামে এক যুবককে নিয়ে আসা হয়। রাত সাড়ে ৯টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আরও ছয়জন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।
এদিকে জেলার বাঁশখালীতে কোম্পানির টাকা তুলে ফেরার পথে দৃবৃর্ত্তদের ছুরিকাঘাতে মো. দুদু মিয়া (৩৮) নামে এক বিক্রয় প্রতিনিধি নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত পৌন ৮টার দিকে গন্ডামারা ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত দুদু মিয়া রংপুর জেলার মিটাপুর উপজেলার বীরামপুর ইউনিয়নের মৃত হযরত আলী ছেলে। তিনি কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানির সেলস অফিসার (ফিল্ড) পদে বাঁশখালী উপজেলায় কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায় মঙ্গলবার রাত আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গন্ডামারা বাজারের বিভিন্ন দোকান থেকে কোম্পানির টাকা সংগ্রহ করে চাম্বল বাজারে নিজ বাসায় ফিরছিলেন তিনি। এ সময় সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ও থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান।